বিশ্বজুড়ে বাড়ছে যুদ্ধের ঝনঝনানি। মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুরু করে মধ্য এশিয়া হয়ে ইউরোপ- বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি কোণেই বাজছে যুদ্ধের দামামা। এমন পরিস্থিতিতি পরাশক্তিগুলো মেতে উঠেছে সমরাস্ত্র উৎপাদন আর বাণিজ্যের প্রতিযোগিতায়।
নিজেকে তৈরি করছে সম্ভাব্য যুেদ্ধ এগিয়ে থাকার মূল শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে। সেই দৌঁড়ে এবার শামিল হয়েছে ইউরেশিয়ার পরাশক্তি তুরস্কও।
হঠাৎ করেই বিপুল পরিমাণ ট্যাংক উৎপাদনে নজর দিয়েছে এরদোয়ানের দেশ। কিন্তু কেমন এমন রণপ্রস্তুতি, তবে কী শীঘ্রই কোনো বড় আকারের যুদ্ধের শঙ্কায় রয়েছে আঙ্কারা?
তুর্কি সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের প্রথম নিজস্ব মেইন ব্যাটেল ট্যাংক আলটাইয়ের বিপুল পরিমাণে উৎপাদন শুরু করেছে।
বুধবার দেশটির ঊর্ধ্বতন এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তুর্কি প্রতিরক্ষা সরজ্ঞাম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএমসি ডিফেন্স এসব ট্যাংক উৎপাদন করছে।
তুর্কি প্রতিরক্ষা শিল্পের হেড অব প্রেসিডেন্সি হালুক গোর্গুন জানান, এরই মধ্যে তুরস্কের জাতীয় মেইন ব্যাটেল ট্যাংকের বিপুল পরিমাণ উৎপাদন শুরু করা হয়েছে।
অনেক দেশই এ প্রকল্পে অংশীদারত্ব নিতে প্রস্তুত। আঙ্কারা তাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তুর্কি এ কর্মকর্তা জানান বিএমসি আধুনিক যুদ্ধকৌশল ও সমরাঙ্গনের চাহিদা অনুযায়ী আলটাই ট্যাংকের আধুনিকায়ন করেছে, যা ট্যাংটির ধ্বংস ক্ষমতা ও স্থায়ীত্ব বহুগুনে বাড়িয়ে তুলেছে।
একই সঙ্গে তুরস্ক তার নির্মাণাধীন বিমানবাহী রণতরীর জন্য ড্রোনের সফল টেকঅফ টেস্টও সম্পন্ন করেছে। শনিবার একটি স্থল-ভিত্তিক রানওয়ে থেকে সফলভাবে তার প্রথম স্কি-জাম্প পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে।
বাইকার টেকনোলোজিসের শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে যে ড্রোনটি উত্তর-পশ্চিম তুরেস্কের এডির্নে অবস্থিত একটি রানওয়ে থেকে আকাশে ডানা মেলে।
এ সময় বাইরাকতার টিবি-৩ ড্রোনটি ১২ ডিগ্রি বাকা একটি রানওয়ে থেকে টেক অফ করে যা একটি বিমানবাহী রণতরীর ফ্লাইট ডেকের আদলে তৈরি।
ড্রোনের পাশাপাশি সামরিক ড্রোন ক্যামেরাও উন্নত করছে তুরস্ক। বাইকার কোম্পানির শেয়ার করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, তুর্কি প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান আসেলসানের তৈরি আসেলফ্লির-৫০০ ক্যামেরা ব্যবহার করে সমুদ্রে ভাসমান একটি লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করেছে বাইরাকতার আকিনচি ড্রোন।
এ সময় তুর্কি সমরাস্ত্র উৎপাদন প্রতিষ্ঠান রকেটসানের তৈরি এমএএম-টি ও এমএএম-এল ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।