কর্মীর চাইতে নেতার সংখ্যাই বেশী দেখা যাচ্ছে এ অবস্থা দলের জন্য মোটেই ভাল নয়।
বেশ কিছুদিন হল স্বসাস্থ্যগত কারনে চুক্তিভিত্তিক চাকুরী থেকেও অবসর নিয়েছি। অতীত দিনের কথা- গুলো বারবার মনে পরছে। এক ধরনের নস্’ট্যালজিয়া বলা যায়। নব্বই সালের পূর্বের কথা।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগ কার্যকরী সংসদে দুইজন কর্মকর্তা ছিলেন যারা সরকার নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরিরত ছিলেন। সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দীন চৌধুরী কারান্তরালে কাটাতেন বেশীরভাগ সময়।
সে সময় ঐ দু’জন চাকুরীজীবি কর্মকর্তার সাহসী উদ্যোগে ১৫ আগষ্ট শোকদিবসের কর্মসূচী পালন করা হতো চট্টগ্রাম শহীদ মিনারের পাদদেশ। শোকের গান পরিবেশন করতো
মহানগর আওয়ামী শিল্পীগোষ্ঠীর অশোক সেন গুপ্ত। তখন অত নেতা ছিলেননা। যারা ছিলেন অনিবার্য্য কারনে তারাও আসতেননা।
একান্নব্বই সাল থেকে অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। এখনতো অবস্থা টাল মাটাল। কর্মীর চাইতে নেতার সংখ্যাই বেশী দেখা যাচ্ছে। এ অবস্থা দলের জন্য মোটেই ভাল নয়। শীর্ষ নেতাদের ঐক্য এখন সময়ের দাবী।
খবরে প্রকাশ বিভিন্ন স্থানে কথিত নেতা কর্মীরা বিভক্ত হয়ে নিজেদের মত করে শোক দিবস পালনের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। শীর্ষ নেতাদের ঐক্যই পারে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে।
সকল স্তরের নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ হয়ে কর্মীদের বিভক্তি নিরসন করে দলীয় সংগঠনকে শক্তিশালী করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে কাংখিত লক্ষে এগিয়ে নিতে হবে।
এই হোক এবারের শোক দিবসের শপথ।
আলহাজ্ব এ কে এম বেলায়েত হোসেন
উপদেশষ্টা-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম মহানগর