করোনা মহামারির মধ্যেই বিভিন্ন দেশে নানা আয়োজনে উদযাপন করা হচ্ছে বড়দিন। যিশু খ্রিস্টের জন্মের শুভক্ষণটি, শ্রদ্ধা ভালোবাসায় জাকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন করা হয়।
বড়দিনের প্রথম প্রহরে সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় অন্তত একশ সহযোগী নিয়ে প্রার্থনা করেন পোপ ফ্রান্সিস। এ সময়, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান তিনি। এবার বৈশ্বিক মহামারি করোনায় সব আয়োজনই সীমিত পরিসরে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে করা হচ্ছে।
সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় ক্রিসমাস ইভের ম্যাসে উপস্থিত এক খুদে ভক্তের মাথায় হাত বুলিয়ে আশীর্বাদ করছেন পোপ ফ্রান্সিস। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এ বছর সেখানে একশ জনের কম দর্শক উপস্থিত ছিলেন।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেই ভারতের পুরাতন দিল্লির একটি গির্জায় বড়দিনের প্রার্থনায় প্রচুর মানুষকে অংশ নিতে দেখা যায়। যিশুখ্রিস্টের জন্মভূমি জেরুজালেমের বেথলেহ্যাম চার্চে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রার্থনায় অংশ নেয়, খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা। ভোর রাতে শুরু হয় এ প্রার্থনা। ইসরাইলের বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় অংশ নিতে পারেননি বিদেশিরা। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে সমুদ্র সৈকতেই বড়দিন উদযাপনের আনন্দে মাতেন অনেকেই।
গ্রিসে বিধিনিষেধ মেনে উৎসব উদযাপনে কড়াকড়ি আরোপ করে পুলিশ। মিশরে বড়দিন ও নতুন বছর উদযাপন বাতিল করা হলেও বিধিনিষেধ মেনে গির্জা খোলা রাখা হয়। কায়রোয় ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের স্বল্পসংখ্যক সদস্য প্রার্থনায় অংশ নেয়।
বড়দিনে রাশিয়ার মস্কোকে সাজানো হয় বাহারি সাজে। একটি টিভি টাওয়ারে জ্বালানো হয়েছে ২৪ ধরনের বাহারি বাতি। এদিকে, বড়দিনেও কোয়ারেন্টাইন না ছাড়ার তাগিদ দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানোম গেব্রিয়াসেস।
বাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প।