লালমনিরহাট জেলা কারাগার বোমা মেরে উড়েয়ে দিয়ে মুক্ত করা হবে সাথী ভাইদের। যে কোন মুল্যে তাদের মুক্ত জীবন দেয়া হবে। একটি টেলিটক নম্বর দিয়ে জেলা কারাগারের সুপার কিশোর কুমার নাগকে হুমকী দেয়া হয়েছে। এই ঘটনায় শনিবার রাতে সদর থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। রবিবার থেকে কারাগারের সামনের রাস্তা ও জেলখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করছে।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, জেলা কারাগারে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতারকৃত ২০ জন জঙ্গি রয়েছে। তারা এতোদিন সাধারণ কয়েদির মতই কারাগারে ছিল। বিষয়টি প্রথমে তেমন আমলে নেয়নি জেল কর্তৃপক্ষ। গত ৯ সেপ্টেম্বর জেল কতৃর্পক্ষর কাছে মানিক গঞ্জের সিংগার হতে এমরান নামে জনৈক ব্যক্তির চিঠি আসে। সেখানে জঙ্গিদের মুক্ত করার দাবি জানায়। তাঁদের মুক্ত করে দিতে বলে। তা না হলে জেলখানা উডিয়ে দেয়ার হুমকী দেয়। তৎপ্রেক্ষিতে জেলখানার প্রাচীরের বাহিরে ও ভিতরে চারিধারে দিন রাত ২৪ ঘন্টা পাহাড়া বসানো হয়েছে।
জেলখানার সামনের রাস্তায় যানবাহন ও পথচারিদের তল্লাশি করা হচ্ছে। মেটাল ডিটেকটর দিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেল সুপার কিশোর কুমার নাগ জানান, বিষয়টি উর্ধতণ কর্তৃপক্ষকে জানোনো হয়েছে। তাদের পরামর্শে থানায় জিডি করা হয়েছে। পুলিশ মোবাইল নম্বর টি তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে কল ট্রাকিংয়ে দিয়েছে। তবে সরকারি ডাক যোগের মাধ্যমে আসা চিঠিটি কোন ডাকযোগের মাধ্যমে কখন কোথা হতে পোষ্ট করা হয়েছে তা অস্পষ্ট। তবুও পুলিশ ও আইনশৃংখলা বাহিনী তদন্ত করে দেখছে।