ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন গতকাল বুধবার ডাউনিং স্ট্রিটে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমনবৃদ্ধির কারনে ব্রিটেন এক সংকটপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছেছে। তিনি সবাইকে সর্তক করে বলেন, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়েআরও পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
তিনি জাতিকে সম্মিলিত সহশীলতা, কমন সেন্স এবং ত্যাগ স্বীকার করে পরিস্থিতি মোকাবেলার আহবান জানান।
আজও ৭০০০ বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার নতুন বিধিনিষেধ আনতে বাধ্যহয়েছে।
তিনি সরকারের নেয়া নতুন প্রদক্ষেপ ভাইরাস সংক্রমন নিয়ন্ত্রনে কিছুটা সময় লাগতে পারে।
ছাত্র–ছাত্রীরা যাতে ক্রিসমাসের জন্য নিরাপদে বাড়ী ফিরতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, শীতে করোনামোকাবেলায় সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। অক্টোবরের শেষ দিকে প্রতি ৫ লাখ মানুষ করোনা টেস্ট করতে পারবেন। আর ৪মাসের সুরক্ষা সরঞ্জাম যেমন, মাস্ক, গাউন এবং ভিজরস এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় লকডাউন এড়াতে তিনি আর বিধিনিষেধ আরোপ করতে দ্বিধা করবেন না।
তিনি সবাইকে আরো সর্তক করে বলেন, স্থানীয়ভাবে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ প্রথম তরঙ্গের যাইতেও বেশি হতে পারে।প্রেসব্রিফিংয়ে ইংল্যান্ডের চীফ মেডিকেল অফিসার প্রফেসর ক্রিস হুইটি জানিয়েছেন, হাসপাতালে করোনা রোগী এবংইনসেনটিভ কেয়ারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এরপরও হাসপাতালগুলো রোগীদের মোকাবেলায় সামর্থ রয়েছে।
এদিকে প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেস্টা স্যার প্যাট্রিক ভ্যালেন্স বলেছেন, এটি পরিস্কার যে, ভাইরাস দ্রুত সংক্রমিত হতে। এটিআমাদের নিয়ন্ত্রনে নেই।