ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মিরের একটি সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে বিচ্ছিন্নতাকামীরা। সেখানে চলছে দু’পক্ষের পাল্টা গোলাগুলি। এতে আহত হয়েছেন পাঁচ সেনা সদস্য ও এক স্পেশাল পুলিশ অফিসার (এসপিও)।
মঙ্গলবার (১১ জুন) দিবাগত শেষ রাতে ওই ঘাঁটিতে হামলা হয়।
কাঠুয়ায় বিচ্ছিন্নতাকামীদের গুলি, একজন বেসামরিক ব্যক্তিকে আহত করার এবং রিয়াসিতে তীর্থযাত্রীদের বহনকারী একটি বাসে নয়জন যাত্রী নিহত হওয়ার পর জম্মুতে তিন দিনের মধ্যে এটি তৃতীয় ঘটনা।
গত রাতে কাঠুয়ায় একটি এনকাউন্টারে একজন বিচ্ছিন্নতাকামী নিহত হয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের তত্ত্বাবধানকারী জম্মু জোনের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আনন্দ জৈন এ কথা জানিয়েছেন।
দোদা ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা গভীর রাতে ছত্তরগালা এলাকায় একটি সেনা ঘাঁটিতে পুলিশ ও রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের একটি যৌথ দলের ওপর গুলি চালায়। উচ্চতর এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী এবং সন্ত্রাসীদের মধ্যে লড়াই চলছে।’
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাঠুয়া হামলায় দুই বিচ্ছিন্নতাকামী জড়িত ছিল এবং তাদের মধ্যে একজন নিহত হয়েছে। কাঠুয়ার হীরানগর এলাকায় দ্বিতীয়জনের সন্ধানে নিরাপত্তা বাহিনী এখন ড্রোন ব্যবহার করছে।
পুলিশ আরো জানায়, বিচ্ছিন্নতাকামীরা গ্রামবাসীদের সন্দেহ জাগিয়ে বেশ কয়েকটি বাড়ি থেকে পানি চেয়েছিল এবং কিছু গ্রামবাসী সতর্কতা জারি করলে তারা গুলি চালায়। গুলিতে এক বেসামরিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক আনন্দ জৈন কাঠুয়া হামলায় তিনজন মারা যাওয়ার খবর অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, ‘অনেক লোক আহত হয়েছে এবং তিনজন মারা গেছে বলে গুজব রয়েছে। তবে শুধুমাত্র একজন বেসামরিক ব্যক্তি আহত হয়েছে, এর বাইরে বন্দী হওয়া এবং মৃত্যুর বিষয়ে সমস্ত তথ্য গুজব।’
তিনি কাঠুয়া হামলাকে একটি ‘নতুন অনুপ্রবেশ’ বলে অভিহিত করেন এবং এর জন্য নাম উল্লেখ না করে পাকিস্তানের দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের শত্রু প্রতিবেশী যারা সবসময় আমাদের দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করে। এটি (হীরানগর সন্ত্রাসী হামলা) একটি নতুন অনুপ্রবেশ বলে মনে হচ্ছে।’
এর তিন দিন আগে তীর্থযাত্রীদের বহনকারী একটি বাস লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে সেখানকার বিচ্ছিন্নতাকামীরা। ওই সময় বাসচালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি একটি গিরিখাদে পড়ে। এতে অন্তত নয়জন জন নিহত ও ৩৩ জন আহত হয়েছে। যাদের সবাই তীর্থযাত্রী ছিলেন।
সূত্র : এনডিটিভি