গত তিন মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনার ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৫ বছর দেশ পরিকল্পনায় যে ত্রুটি বিচ্যুতি তার দায়ভার আমাদের। আগামীতে ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার অঙ্গীকারও করেন সরকারপ্রধান।
বুধবার সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণার সময় একথা বলেন তিনি।
আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকায় ভোট চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যা কর্তব্য হিসাবে গ্রহণ করেছি, সেখান থেকে কেউ আমাকে সরাতে পারবে না। আপনারা আমাদের ভোট দিবেন, আমরা উন্নয়ন সমৃদ্ধি দিবো।
তিনি বলেন, সরকার পরিচালনা করতে গিয়ে শতভাগ সফল হয়েছি তেমন দাবি করবো না। আওয়ামী লীগ কথামালার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। আমরা যা বলি বাস্তবায়ন করি।
রাষ্ট্রপরিচালনায় ভুল ত্রুটি হলে তা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরের সরকার পরিচালনার পথ-পরিক্রমায় যা কিছু ভুলত্রুটি তার দায়ভার আমাদের। সাফল্যের কৃতিত্ব আপনাদের। আমাদের ভুলত্রুটিগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমরা কথা দিচ্ছি, অতীতের ভুলভ্রান্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে আপনাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ভবিষ্যৎ কর্মকা- পরিচালনা কররো।’
আগামী ৭ জানুয়ারির ভোটে নির্বাচিত সরকারের জন্য অর্থনীতির এই ক্রান্তিকাল বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘একমাত্র আওয়ামী লীগই পারবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে।’
টানা তিন মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনা করা আওয়ামী লীগ প্রায় ১২ কোটি ভোটারকে সামনে রেখে এ ইশতেহার প্রণয়ন করেছে।
নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করলে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা সুশাসন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা আরো সুসংহত করা হবে বলে নির্বাচনী ইশতেহারে তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে টিকে থাকার উপযোগী করে স্মার্ট বাংলাদেশ থিম নিয়ে ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’ শ্লোগানের ইশতেহার ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ প্রধান।
ইশতেহার ঘোষণায় শেখ হাসিনা ‘স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সমাজ’ এই চার স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার প্রতিশ্রুতি দেন।