কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) নির্বাচনে টানা দুইবারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু ৩৪৩ ভোটে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের কাছে হেরে গেছেন। এই ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন মনিরুল হক সাক্কু।ভোট কেন্দ্রে হঠাৎ ফলাফল স্থগিত করার মধ্যে বড় ধরণের কারচুপি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. মনিরুল হক সাক্কু। তিনি বলেন, ভোট গনণার মাঝ পথেই আওয়ামী লীগের কর্মীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে যেভাবে সুন্দর পরিবেশকে নষ্ট করল আমি এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করব।
সাক্কু আরও বলেন, আমরা রাত ৮ টা পর্যন্ত খুব সুন্দর ভাবেই ফলাফল ঘোষণা করেছি। ৮৭ কেন্দ্র ঘোষণার পরপরই ফোন দিয়ে আওয়ামী কর্মীদের এনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তারা। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।তিনি আরো বলেন, আমার হিসেবে তো ৯৮০ ভোটে এগিয়ে ছিলাম, এখন ওনারা বলছেন যে ৩০০ সামথিং ভোটে পিছিয়ে আছি। এটা তো ওনারা আগেই ঘোষণা করতে পারতেন। এতটা কালক্ষেপণের মানে কী?
তিনি বলেন,আমার কাছে ফলাফলের কাগজ আছে। এটা অন্যায়। এর মাধ্যমে প্রমাণ হলো নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা দেখাতে পারেনি।এদিকে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতকে মেয়র হিসাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
প্রাপ্ত ফলাফল অনুয়ায়ী, নৌকা প্রতীক নিয়ে আরফানুল হক রিফাত পেয়েছেন ৫০৩১০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দুইবারের সদ্য সাবেক মেয়র ও বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মনিরুল হক সাক্কু পেয়েছেন ৪৯৯৬৭ ভোট। এর আগে বুধবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোট শুরুর এক ঘণ্টার মাথায় বৃষ্টি শুরু হয়। এতে সমস্যায় পড়েন ভোটাররা। বেলা ১০টার দিকে বৃষ্টি থামে।
এরপর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোট কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। নির্বাচনে বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর না পাওয়া গেলেও আচরণবিধি ভঙের দায়ে ১২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে।