চট্টগ্রামে এক মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন না করার পর এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের বক্তব্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন করে চট্টগ্রাম মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কাউন্সিল।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মুক্তিযোদ্ধাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে বাঁশখালীর সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমানের অনুসারিরা সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এতে সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
আজ (সোমবার) দুপুর ১২টার দিকে এমপি মোস্তাফিজুর রহমানের এপিএস ও বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র সেলিম উল হকের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকদের উপর এ ন্যাক্কারজন হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান হামলায় আহত চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ।
সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সাংবাদিক মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা অংশ নেয়। হঠাৎ এমপির লোকজন মিছিল নিয়ে এসে লাঠি সোটা দিয়ে পিঠিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পণ্ড করে দেয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।
একসময়ে জাতীয় পার্টি করা এই হাইব্রিড আওয়ামিলিগ নেতা বারবার মহান মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানহানি করছেন। গতমাসের প্রথমে তিনি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তি করলেন এরপর বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারী গেরিলা কমান্ডার শহীদ মৌলভী সৈয়দ আহমদের বড়ভাই মুক্তিযোদ্ধা ডা. আশরাফ আলীকে রাষ্ট্রীয় সম্মান যাতে দেয়া না হয় সেজন্য প্রভাব খাটান এবং সাধারন ভাবে সমাহিত করাতে বাধ্য করেন। এরপর এই মুক্তিযোদ্ধা অবমাননার নিউজ করার অপরাধে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা করে জেল খাটান। অত্যন্ত বেদনার সাথে আজ দেখলাম — আজ দিনেদুপুরে তার নির্দেশে হামলা চালানো হলো – চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের আয়োজিত এক সমাবেশে – সমাবেশটির আয়োজন করা হয়েছিল বাশখালীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আশরাফকে রাষ্ট্রীয় সম্মান না জানানোর প্রতিবাদে।
হামলায় গুরুত্বর আহত হয়েছেন মৌলভী সৈয়দ আহমদের ভাতিজা, দক্ষিণ জেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দীন মোহাম্মদ বাবর। তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারী গেরিলা কমান্ডার মৌলভী সৈয়দ আহমদের বড় ভাই মুক্তিযোদ্ধা আলী আশরাফের মৃত্যুর পর ‘গার্ড অব অনার’ না দেয়ার প্রতিবাদ এবং ওই পরিবারকে নিয়ে এমপির নানামুখি ষড়যন্ত্র মৌলভী সৈয়দ আহমদ পরিবারের সদস্য সাংবাদিক ফারুক আবদুল্লাহ’র বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে আজকের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি ও মানববন্ধনের আয়োজন করলে এমপির পেঠুয়া বাহিনী এ হামলা চালায়