গতকাল মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে আজ সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আজকের “মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড” কর্তৃক আয়োজিত চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরের সমাবেশে কোতোয়ালি থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক,হাসান মানসুর বলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উপর আঘাত করে বাশখালী থেকে নির্বাচিত এম,পি জনাব মোস্তাফিজুর রহমান প্রমান করেছেন তিনি অন্তর থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধকে ধারন করেন না। ৯০ দশকে এরশাদের জাতীয় পার্টি করা দলছুট এই হাইব্রিড আাওয়ামীলীগ নেতা মোস্তাফিজ ইতিপূর্বে দলের সাধারন সম্পাদক জননেতা ওবায়দুল কাদের ও মরহুম আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুকে নিয়েও অশ্লীল অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করে — যার ভিডিও ক্লিপ কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। আাওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল এবং এই যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান — সেই দলের উপজেলা আাওয়ামী লীগ সভাপতি হয়ে তিনি কেন মুক্তিযুদ্ধকে বারবার কটাক্ষ ও অবমাননা করছেন তা আমার বোধগম্য নয়। আওয়ামিলিগ সভানেত্রী, বংগবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার সরলতার সুযোগ নিয়ে আাওয়ামীলীগে অনেক সুবিধাবাদী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী লোক ঢুকে পরেছে। এই হাইব্রিডরাই অর্থ বিত্ত, শঠতা, চাটুকারিতা, পেশীশক্তি দিয়ে এখন পদপদবী ধারন করে দলের আদর্শিক তৃনমূল নেতাকর্মীদের জুলুম করছে, সেই সাথে অপমান করছে মুক্তিযোদ্ধাদের। গণতন্ত্রের মানসকন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনাই সারাদেশে সংগঠনের নেতাকর্মীদের একমাত্র আস্থা ও আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক– তার কাছে আবেদন অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যাবস্থা নেওয়া হউক। আমরা কঠিনভাবে বিশ্বাস করি, নেত্রীর সরলতা,উদারতার সুযোগ নিয়ে দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা “খুনী খন্দকার মোস্তাকের” প্রেতাত্মারা এই মোস্তাফিজকে –আাওয়ামীলীগে পুনর্বাসিত করেছে।স্বাধীনতার প্রতীক “নৌকা” নিয়ে এম,পি নির্বাচিত হয়ে তিনি কিভাবে – জাতির জনক শেখ মুজিব হত্যার প্রথম সশস্ত্র প্রতিবাদকারী “শহীদ মৌলভি সৈয়দকে” অশ্রদ্ধা করেন তা বোধগম্য হয়না। ইতিপূর্বে তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদানে বাধা দেন এবং বাশখালীর কোথাও মুক্তিযুদ্ধ হয়নি বলে দম্ভোক্তি করেন। সর্বশেষ গতকাল চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে দেশের জন্য জীবনবাজি রাখা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে তার নির্দেশে হামলা করা হয়। দলের আদর্শ বিরোধী কাজে লিপ্ত ও মহান মুক্তিযুদ্ধকে বারবার হেয় করার অপরাধে – আমরা তার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করি। একজন আইন প্রনেতা হওয়া সত্ত্বেও তার আচরন শিষ্টতা বিবর্জিত ও আাওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জন্য বিব্রতকর।
সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া গেরিলা কমান্ডার সিরু বাঙালি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, ডেপুটি কমান্ডার মোহাম্মদ সৈয়দ সহ মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর সম্মানিত সদস্যরা ।
দৈনিক অপরাজিত বাংলা