মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় টেংগারচর ইউনিয়নের বৈদ্দারগাঁও গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালিয়ে একজনের হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন এবং আরেকজনকে গুরুতরভাবে আহত করেছে অন্য পক্ষের লোকজন।আহতরা হলেন উপজেলার বৈদ্যার গাও গ্রামের রুবেল(৩২) ও কবির(২২)।
বুধবার (০৯ সেপ্টেম্বর) উপজেলার টেংগারচর ইউনিয়নের বৈদ্যারগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের দুজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা পাঠিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসক। এর মধ্যে রুবেলের এক হাতের কব্জি কাটা ও আরেক হাতের দুই আঙ্গুল কেটে ফেলা হয়েছে আর কবিরের গায়ের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আধিপত্য বিস্তার ও অর্থনৈতিক কারণে দীর্ঘদিন ধরে মুন্সিগঞ্জ জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহজাহান খান ও আজিম উদ্দিন ফরাজী গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি একটি প্রজেক্টে বালু ভরাটকে কেন্দ্র করে শাজাহান খানের লোকজন ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে প্রতিপক্ষ আজিম উদ্দিন গ্রুপের কাছে। দুই লাখ টাকা দেয়ার পর তাদের দাবিকৃত বাকি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় আজিম উদ্দিন ফরাজীর লোকজন।
এ ঘটনার সূত্র ধরে বুধবার বেলা ১১টার দিকে বৈদ্যারগাঁও বাজার এলাকায় শাহজাহান খানের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে অবস্থান করা লোকজন আজিম উদ্দিন ফরাজীর সমর্থক রুবেল ও কবিরের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রুবেল ও কবিরকে গুরুতর আহত করে। সেই সঙ্গে রুবেলের এক হাতের কব্জি কাটা ও আরেক হাতের দুই আঙুল কেটে আনন্দ মিছিল করে তারা। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। আহত দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গজারিয়া থানার ওসি ( তদন্ত) মামুন আল রশিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে তবে তাদের আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ। এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি
এর আগে লকডাউন ভেঙে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের থানাকান্দি গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক ব্যক্তির পা কেটে নিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে আনন্দ মিছিল করা হয়। গত ১২ এপ্রিল উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের থানাকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছিল।