ফের ৩য় দফা রিমান্ডে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায়। দ্বিতীয় দফায় চারদিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার (২৮ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের হাজির করার পর র্যাবের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতের তৃতীয় দফায় তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি ও রামু থানায় একটি মামলা করে। গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মো. রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে নয়জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় এখন পর্যন্ত সাত পুলিশ সদস্য, এপিবিএনের তিন সদস্য ও টেকনাফ থানা পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
“মামলার অধিকতর তথ্যের স্বার্থে মূল অভিযুক্ত তিনজনের আরও চারদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। আসামিদের পুনরায় রিমান্ডের বিরোধিতা এবং জামিন আবেদন করেন চট্টগ্রাম থেকে আসা তিন আইনজীবী। শুনানি শেষে তাদের আবেদন নাকচ করে বিচারক তামান্না ফারাহ আসামিদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন” বলে বিষয়টি নিশিচৎ করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খায়রুল আলম।
উল্লেখ্য যে, প্রথম দফা ৭ দিনের রিমান্ড শেষ হয় গত ২৪ আগস্ট। আবার সেদিনই র্যাবের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সে দিনই ওসি প্রদীপসহ সাত পুলিশের ২য় দফা আরও ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ২য় দফা ৪ দিনের রিমান্ড শেষে ২৮ আগস্ট শুক্রবার আবার আসামীদের আদালতে হাজির করা হলে র্যাবের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতের তৃতীয় দফায় তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।