ঢাকাবুধবার , ১৪ অক্টোবর ২০২০
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

যশোরে কাঁচামরিচ সহ সবজির দামের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি – বিপাকে ক্রেতারা

মোরশেদ আলম, যশোর ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি।
অক্টোবর ১৪, ২০২০ ৫:১৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

গত কয়েক মাস থেকে করোনা দূর্যোগের কারনে অনেকে কর্মহীন হয়ে পড়েছে, বেসরকারি অনেক চাকরিজীবী চাকরি হারিয়েছে, এর বাইরে ছোট ও মধ্যম মানের ব্যবসায়ীদেরও ব্যবসায় অনেক টা ধ্বস নেমেছে। অসহায় অবস্থার মধ্যে দিয়ে পার হচ্চে অধিকাংশ মানুষের জীবন। কিন্তু এই চরম দূর্দিনেও কাচাবাজার এর মূল্য প্রতিদিন ই মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে যাচ্ছে।

যশোর কেশবপুরে কাঁচাবাজারে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ে জনসাধারণ এর ক্ষোভের অভাব নেই।

বাজার করতে আসা একজন বলেন কাঁচা বাজারে কিছু কেনাকাটা করাটা কষ্টকর হয়ে পড়েছে সাধারণ কর্মহীন মানুষের জন্য।
বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করে দেখা যায়, সব ধরনের সবজির দামের পাশাপাশি লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। তিন থেকে সাত দিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম প্রায় ২৪০ টাকায় পৌঁছেছে। এই সময়ে মরিচের দাম প্রতি কেজিতে বৃদ্ধি পেয়েছে ১০০ টাকা এবং সব ধরনের সবজির দাম ১৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাজারে চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত সবজির সরবরাহ থাকলেও বৃদ্ধি পেয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব সবজির দাম। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণেই এটি হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।

বাজারে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ২৪০ টাকা, বেগুন ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, খিরই ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, টমেটো ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ঝিঙে ৪৫ টাকা, পটল ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, আলু ৪৪ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, উচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা, করল্লা ৮০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, কাঁকরল ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।যশোর এর প্রায় সব বাজারে একই চিএ দেখা যাচ্চে।
তবে ককয়েকদিন আগেও এসব পণ্যের দাম ছিল মোটামুটি স্বাভাবিক। কয়েক দিন আগে কাঁচা মরিচ ১৫০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, খিরই ৩০ থেকে ৩২ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, ঝিঙে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা, পটল ৩০ থেকে ৩২ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ২২ টাকা, আলু ৩৫ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, উচ্ছে ৬০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, কাকরল ৫০ থেকে ৫২ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫ থেকে ২৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল।

কেশবপুর বাজারে আসা ক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, করোনার সময়ে অধিকাংশ মানুষ কর্মহীন আসহায় হয়ে পড়েছে। ফলে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ পড়েছে বিপাকে। দাম যাতে শিগগির নিয়ন্ত্রণে আসে এজন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
কেশবপুর বাস স্টান্ড সংলগ্ন তরকারি বাজারে আসা ক্রেতা মজিবার চাচা বলেন, ‘সবজির বাজার বেসামাল অবস্থা। ককয়েকদিনের মধ্যে কাঁচা মরিচের দাম কেজিপ্রতি কমপক্ষে ৮০ থেকে ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে সব ধরনের সবজির দামও। বিপাকে পড়েছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ।

কেশবপুর বাজারে এক ব্যাবসায়ী বলেন, দেশে এবার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি,, এতে সবজিসহ তরিতরকারির ক্ষেত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এজন্য ব্যবসায়ীরা বাইরের জেলা থেকে এসব সবজি ও ঝাল ক্রয় করে আনছে। পরিবহন ভাড়া বেশি হওয়ার কারণে সবজি ও ঝালের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় কাঁচা ঝাল সহ সবধরণের সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।