রাজধানীর বাজারে দুইদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১৫ টাকা পর্যন্ত। পাইকারির তুলনায় খুচরা বাজারে দ্বিগুন দামে বিক্রি হচ্ছে প্রায় সবধরনের সবজি। সরবরাহ ভালো হলেও দাম বৃদ্ধির কারণ জানা নেই ব্যবসায়ীদের। আর খুচরা বাজারে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু। এছাড়া সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর পাইকারি বাজারে শীতকালীন নানা সবজির সমারোহ। পাইকারি বাজারে ১২ টাকা হলেও খুচরা বাজারে দ্বিগুনের বেশি ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে মুলা , ঢেঁড়স ও সীম ১৮০ টাকা এবং কাঁচামরিচ ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ ১২০, সীম, ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। তবে গেলো সপ্তাহের তুলনায় দাম কিছুটা কমেছে।
আলু খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। শীতের সবজি ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম ও মুলার সরবরাহ বাড়ায় রাজধানীর বাজারগুলোতে সব ধরনের সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে একাধিক সবজির দাম কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে। সেই সঙ্গে কমেছে ডিমের দাম।
সবজির দাম কমায় ক্রেতাদের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। তবে আলু ও পেঁয়াজের দামে অস্বস্তি রয়েই গেছে। সরকারের বেঁধে দেয়া দামের তোয়াক্কা না করে আগের মতই বাড়তি দামে আলু বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। পেঁয়াজ ও আলু আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বললেন নতুন আলুর সরবরাহ বাড়লে কমবে দাম। এজন্য অপেক্ষা করতে হবে দেড় থেকে দু’মাস। এছাড়া দু’দিন ধরে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। নতুন চাল বাজারে আসতে শুরু করায় কমতির দিকে দাম। তবে সয়াবিন তেলের দাম বাড়তি। অপরিবর্তিত মুদিপণ্য।
বাজারে চালের দামও আগের মতোই রয়েছে। বর্তমানে খুচরা বাজারে মিনিকেট ৫৪ থেকে ৫৮ টাকা, আটাশ ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা ও নাজিরশাইল ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজার কিছুটা বাড়তি রয়েছে। কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, নতুন ধান উঠলেও চালের দাম কমেনি। ধানের দাম বাজারে বাড়তি রয়েছে। তাই চালের দামও বেশি।
বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায়
প্রায় সব ধরনের মাছের দাম কমেছে কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। আর আগের দামেই বিক্রি
হচ্ছে মাংস।