আলোচিত রিফাত হত্যা মামলায় আগেই মিন্নি সহ ৬ আসামীর মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছিলেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আছাদুজ্জামান আয়শা সিদ্দিকা।
আজ বরগুনার বহুল আলোচিত সেই শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অপ্রাপ্ত বয়স্ক ১৪ আসামির রায় ঘোষণা করা হয়েছে। সকাল ৯ টায় আসামীদের কড়া নিরাপত্তায় আদালত প্রাঙ্গনে হাজির করা হয়।
অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের মধ্যে মামলায় জামিনে থাকা আট শিশু-
চন্দন সরকার,
নাজমুল হাসান,
রাকিবুল হাসান নিয়ামত,
প্রিন্স মোল্লা,
মারুফ মল্লিক,
মারুফ বিল্লাহ্,
রাতুল সিকদার,
আরিয়ান হোসেন শ্রাবণ।
বরগুনা জেলা কারাগারে থাকা বাকি ছয় শিশু হলো-
রাশেদুল হাসান রিশান ফরাজী,
রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার,
আবু আবদুল্লাহ রায়হান,
ওয়ালিউল্লাহ্ ওলি,
নাঈম ও
তানভীর।
মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে বরগুনা জেলা শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় দেন। এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ১টা ১০ মিনিটে জেলা শিশু আদালতে এ রায় পড়া শুরু করেন বিচারক মো. হাফিজুর রহমান।
রায়ে ৬ আসামির ১০ বছর,
৪ জনের ৫ বছর ও
১ জনের ৩ বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
এছাড়া ৩ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
রায় ঘোষণা উপলক্ষে বরগুনার আদালত প্রাঙ্গণ এলাকায় তিন স্তরের কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছিলো। এছাড়া পুরো জেলা জুড়েই সতর্ক অবস্থানে ছিলেন পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আদালতে মামলার রায় শুনতে হাজির হয়েছিলেন রিফাতের পরিবারের সদস্য, মামলার আইনজীবী, গণমাধ্যমকর্মী ও আসামিদের স্বজনরা।
জানা যায়, গত বছর ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনের সড়কে নয়ন বন্ড ও তার সহযোগীরা রিফাত শরীফকে ধারালো চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ ২৭ জুন বরগুনা থানায় নয়ন বন্ডকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নয়ন বন্ড নিহত হয়।
এর মধ্যে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে শিশু আদালতে ৫ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক শুরু করেন। আসামিপক্ষ ১২ অক্টোবর যুক্তিতর্ক শেষ করেন। এরপর আবার রাষ্ট্রপক্ষ ১৪ অক্টোবর যুক্তি খণ্ডন করেন। ওই তারিখে বিচারক ২৭ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।