আজ রোববার পবিত্র আশুরা। এ বছর করোনার কারণে ইমামবাড়ার বাইরে তাজিয়া মিছিলসহ সব আয়োজন বন্ধ থাকছে। হোসনি দালান কর্তৃপক্ষ জানান, করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের সব ইমামবাড়ার ভেতরে পালিত হবে পবিত্র আশুরা।
আর পুলিশ জানিয়েছে, আশুরা উপলক্ষে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি না থাকলেও নেয়া হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রবেশ করতে হয়েছে হোসেনী দালান চত্বরে। ইমামবাড়ায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যা থেকেই ছোট ছোট মিছিল নিয়ে হোসেনী দালান ইমামবাড়ায় জড় হন শিয়া সম্প্রদায়ের অনুসারীরা। রাত দেড়টায় ইমামবাড়া চত্বরে বের করা হয় তাজিয়া মিছিল। কারবালা প্রান্তরের শোকাবহ ঘটনা স্মরণে মাতম করেন অংশগ্রহণকারীরা। করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা যেমন কম ছিল তেমনি প্রবেশপথে জীবাণুনাশকও ছিটানো হয়েছে।
হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম কারবালার প্রান্তরে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ -এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসাইন চক্রান্তকারী ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে মর্মান্তিকভাবে শহীদ হন। বিশ্ব মুসলিমের কাছে দিনটি একদিকে শোকের, অন্যদিকে অন্যায়, হত্যা ও ষড়যন্ত্র রুখে দেয়ার বিরুদ্ধে চেতনাও। বিধি-নিষিধের বেড়াজালে এবার মূল আয়োজনে কিছুটা ভাটা পড়লেও সবার অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ শোক পালনে আশাবাদী।
এদিকে আশুরা ঘিরে হোসেনি দালানসহ আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ।
শোকের মাতম আছে। তবে ছোট হয়ে এসেছে পরিসর। ইমামবাড়ায় প্রবেশ করতে হয়েছে স্বাস্থ্যমিধি মেনেই। যদিও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয়নি।
এবার সব আনুষ্ঠানিকতা ইমামবাড়াকে ঘিরেই। শত শত বছরের ঐতিহ্য ভেঙে প্রথমবারের মত শহরজুড়ে হচ্ছে না তাজিয়া মিছিল।
কারবালার বিয়োগাত্মক ঘটনা স্মরণে প্রতিবছর মহররম মাসের শুরু থেকেই শোক পালন করেন শিয়া মতাদর্শী
দৈনিক অপরাজিত বাংলা