মো: তাজুল ইসলাম কামরুল
শরৎ এসেছে অনেক আগে। শরতের আগমনী বার্তা জানিয়ে দেয় একগুচ্ছ সাদা কাশফুল। প্রকৃতির দোলাচালে যদিও কাশফুল এবার ফুটেছে অনেক পরে। সবেমাত্র কাশবনে যৌবন ফিরেছে। ফুলে ফুলে ভরে গেছে বন। দূর আকাশের শুভ্র মেঘের সাথে পাল্লা দিয়ে দোল খাচ্ছে,মিলে মিশে যেন একাকার। এরই মাঝে কখনো বৃষ্টি, কখনো রৌদ্র মেঘের ছায়ার খেলায় কাশবনের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় আরো দ্বিগু। একগুচ্ছ কাশফুল স্মরণ করে দেয় রবীন্দ্রনাথের অনিন্দ্য সৃষ্টির কথা :
“আমরা বেঁধেছি কাশের গুচ্ছ,
আমরা গেতেছি শেফালী মালা।
নবীন ধানের মঞ্জুরী দিয়ে
সাজিয়ে এনেছি ঢালা। ”
কাশবনের এই অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে ছুটে যাচ্ছেন বৃদ্ধ,তরুণ, তরুণীর দল। দেখতে দেখতে মনের আনন্দে অনেকে ফটো সেশন আর সেলফি নিয়ে ব্যস্ত। রসিক এক দুষ্ট তরুণ একটি শুভ্র কাশ ছিঁড়ে গুঁজে দিলেন তার প্রিয়সির
অগোছালো কালো চুলের খোপায়। নিচ্ছে মন মাতানো আনন্দ।
কাশবন আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে।শহরে, গ্রামে রাস্তার ধারে কিংবা পতিত জমিতে আগে অহরহ দেখা গেলও এখন একেবারেই কম। তাহাও হয়তো একসময় ভূমিখেকোদের করাল গ্রাসে প্রকৃতির বুক ছিন্ন করে একেবারেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
শহরের অদূরে নদীর ধারে মনোমুগ্ধকর কাশফুলের সমাহার দেখতে ছুটে যেতে পারেন, অবসরে শরতের কোন এক বিকেলে । আর সাক্ষী হয়ে রইলেন শরতের প্রদত্ত এই নির্মল উপহারের।