সবার আন্তরিক চেষ্টায় দেশে করোনা মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শীতে মহামারি পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। তাই আগাম প্রস্তুতি রাখতে হবে সবাইকে।
প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে বিএবি নেতারা অনুদান দিতে গেলে রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এ অনুদান গ্রহণ করেন মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
ভার্চুয়াল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় এবারের অনুদান গ্রহণের কার্যক্রম। এতে গণভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মুখ্যসচিবের হাতে ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে চেক তুলে দেন দেশের বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
এসময়, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস- বিএবি’সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মোট ১৬৫ কোটি ৬০ লাখ টাকার চেক দেয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যত বেশি প্রাইভেট ব্যাংক দিয়েছি, এতে ব্যাপক হারে কর্মসংস্থান হয়েছে। অনেক মানুষের চাকরি হয়েছে। এটাই হচ্ছে সব থেকে বড় কথা। আর আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যও সম্প্রসারিত হয়েছে। সেখানে ব্যাংকগুলো যাতে ভালোভাবে চলে আমরা সেটাই চাই।
তিনি বলেন, আপনারা যখন যে দাবিটাবি আনেন, যেটা যুক্তিসঙ্গত সেটা আমরা সবসময়ই বিবেচনা করি। আজকেও বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল সাহেব যে কথাগুলো বলেছেন, আমি সেটা দেখবো। যদি সেখানে সমস্যা থাকে তবে যাতে সমস্যা আর না হয় তা আমরা অবশ্যই বিবেচনা করবো। আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে ব্যাংকটা যেন ভালোভাবে চলে, সেদিকে আপনারা বিশেষভাবে দৃষ্টি দেবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, কিছু কিছু ব্যাংক আছে অতি দুর্বল। সেটা অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে কোনটা ঠিকমতো চলছে। কোনটা ঠিকমতো চালাতে পারছে কিনা? সেগুলো বিবেচনা করেই করা হবে। অবিবেচনা করে কিছুই করা হবে না এইটুকু ভরসা রাখবেন। আপনাদের এ অনুদান সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজে লাগবে। সে জন্য আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, করোনার কারণে দেখা হচ্ছে না। তবুও বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আপনারা আমার অফিসে কষ্ট করে এসেছেন সেজন্য সবাইকে আন্তরিকে ধন্যবাদ। সবাই সুস্থ থাকবেন এটাই আমরা চাই। দোয়া করেন দেশটা যাতে করোনা মহামারি থেকে মুক্তি পায়। সারাবিশ্বই যাতে মুক্তি পায়। মানুষের সত্যিই খুব কষ্ট হচ্ছে করোনার কারণে। তবুও দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রাখতে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি। তার জন্য যা যা দরকার সেটা দিয়ে যাচ্ছি।