ধর্ষনের মহামারিতে জর্জরিত দেশ। করোনা পরবর্তী সময়ে ধর্ষণের ভয়ংকর থাবায় নিষ্পেষিত হচ্ছে, সহিংসতার শিকার হচ্ছে নারীরা।
একের পর এক আবাল-বৃদ্ধা-বনিতা ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় হতবাক সারাদেশ। এ নিয়ে সরকারও কম বিব্রত নয়। দোষীদের সর্বোচ্চ সাজার দাবিতে চলছে টানা আন্দোলন।
এ অবস্থায়, দেশের আদালতে কয়েক লক্ষ ধর্ষণ মামলা ঝুলে আছে। এর মধ্যে হাইকোর্টেই আছে লক্ষাধিক। জট কমাতে ধর্ষণের বিচার আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠনের ওপর জোর দিয়েছেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। যদিও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মনে করেন, নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালেই ধর্ষণ মামলার বিচার সম্ভব।
নানামাত্রিক বিচার বিশ্লেষণ ও সংখ্যাতাত্ত্বিক পরিসংখ্যানের নিরিখে চলছে চুলচেড়া বিশ্লেষণ। কেন ধর্ষণ হচ্ছে, ধর্ষণের সংখ্যা কতো, ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নয় কেন, কেন এতো মামলা জট -এত সব প্রশ্নেরও সদুত্তর মিলছে না।
এমন মামলার জটের বিষয়ে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, “কয়েক লক্ষ ধর্ষণের মামলা ঝুলে আছে সারাদেশের আদালতে। এর মধ্যে লক্ষাধিক ধর্ষণের মামলা অমীমাংসিত কেবল হাইকোর্টে। আদালতে গড়ায় না এমন ঘটনাও একেবারে কম নয়। এমন বাস্তবতায় মামলা জট কমানোই বড় চ্যালেঞ্জ।”
যদিও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মনে করেন, ধর্ষণের বিচারে আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠন করার কোন প্রয়োজন নেই, নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালেই ধর্ষণ মামলার বিচার সম্ভব।
দ্রুত বিচার নিশ্চিতে আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠন নিয়ে ভিন্নমত থাকলেও ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা নিয়ে একমত জানিয়েছেন তারা।
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, লক্ষ লক্ষ ধর্ষনের ঘটনা লোক চক্ষুর আড়ালে রয়ে গেছে। হাজার হাজার মামলা আদালতেই গড়ায় না। এর মূল কারন হলো আনের সুষ্ঠু প্রয়োগ নেই। আসামীর দুই থেকে তিন বছরের কারাবাস কিংবা জামিনে বের হয়ে আসা ইত্যাদির জন্য ধর্ষণ অপরাধকে নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছে না।