একজন শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কাছে নৈরাশ্যবাদী সুশীল গোষ্ঠির হাহাকারও পরাজিত হয়েছে-ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
বেশ কিছু সমালোচক বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৫% এর বেশি হলো কেনো করোনা কালে, এটি নিয়ে বেশ আলোচনা করছেন৷ তারা ভুলে যাচ্ছেন এটি এক অর্থ বছরের হিসাব, আর সেই অর্থ বছরে এপ্রিল মাসের পুরো আর মে মাসে আংশিক, আর জুন মাসে প্রায় বেশিরভাগ অর্থনৈতিক কর্মকান্ড চলেছে। তাই এই হিসেবে এই হার আসা আজগুবি কিছু নয়, এবং এই সংখ্যা রাজনৈতিক চাপের কারনেও নয়। বাংলাদেশের অর্থনীতি শুধুই বিদেশে রপ্তানির উপরে নির্ভরশীল নয়। সরকারি রাজস্ব আয়ের প্রায় ৩৫% আসে আমদানি খাত থেকে, যার অনেকাংশই আভ্যন্তরীণ ভোগের অংশ। আমদানি কমেছে জানুয়ারির পর থেকে, কিন্তু বন্ধ ছিলো না। আমাদের আভ্যন্তরীণ উৎপাদন খাত, বিশেষ করে খাদ্য পন্য, কৃষিকাজ চলমান ছিলো। চলমান ছিলো বিশাল অংকের সরকারি ব্যয়, যা আভ্যন্তরীণ ভোগের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত। শুধু অবকাঠামো কাজ ইত্যাদি কিছুদিনের জন্য বন্ধ। অফিস আদালত বন্ধ ছিলো, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিলো, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বেতন ভাতা বন্ধ ছিলোনা। এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সর্বত্রই বেতন চালু ছিলো। খাদ্যপন্য উৎপাদন, পরিবহন ব্যবস্থা, সম্পূর্ণ চালু ছিলো। ব্যাংকিং খাত চালু ছিলো। ঔষধ শিল্প, স্বাস্থ্য খাত, ই-কমার্স ইত্যাদি ঠিকই সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলমান ছিলো। সবকিছু মিলিয়ে প্রবৃদ্ধির হার এই পরিমান হওয়া কোনোভাবেই অমূলক নয়। আমরা দূর্যোগের সম্মুখীন হয়েছি অর্থ বছরের শেষের দিকে এসে। স্টান্ডার্ড চার্টাডের একজন শীর্ষ কর্মকর্তাও একই কথা বলেছেন কিছুদিন আগে। এই সমালোচক গোষ্ঠি দেশে ভয়াবহ আর্থিক অবস্থা, দুর্ভিক্ষ, কেনো হলো না এটি নিয়ে মনে হয় খুব দুঃখ পেয়েছে।
একজন শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কাছে নৈরাশ্যবাদী সুশীল গোষ্ঠির হাহাকারও পরাজিত হয়েছে।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় শেখ হাসিনা।