জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ফাউন্ডেশনের উদ্যেগে ভালোবাসার উপহার স্বরূপ রোগীদের জন্য সম্পূর্ণ ফ্রী-তে চিকিৎসা সেবা প্রদান অনুষ্ঠানে উদ্ধোধক হিসেবে বক্তৃতা প্রদানকালে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চট্টগ্রাম মহানগর আহবায়ক আলহাজ্ব মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সপবিারে হত্যা করা হয় বাংলাদেশের স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার আমাদের প্রাপ্য ছিল কিন্তু ১৯৭৫ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বর ক্যুখ্যাত ইমডেমনিটি (দায়মুক্তি) অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের হাত ধরে ক্ষমতায় আসা খন্দকার মোশতাক। এতে বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বা পরিকল্পনার সাথে জড়িত কারো বিরুদ্ধে কোন আদালতে মামলা করা যাবেনা। এমনকি সুপ্রীম কোর্ট বা কোর্ট মার্শালেও তাদের বিচার করা যাবেনা। অফিসে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও রুদ্ধ করা হয় অধ্যাদেশে।
বাংলাদেশের সংবিধানে হত্যাকাণ্ডের বিচারপ্রাপ্তির মৌলিক অধিকারকে খর্ব করে আদেশটিকে আইনে পরিণত করেন জিয়াউর রহমান।
১৯৭৯ সালের ৯ই জুলাই সংসদে পাশ হয় মানবতাবিরোধী ইমডেমনিটি আইন। দেশে শুরু হয় বিচারহীনতার সংস্কৃতি। শাস্তির পরিবর্তে পুরস্কৃত করা হয় খুনিদের। দেয়া হয় বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি। দূতাবাসের চাকরির পাশাপাশি মহান পবিত্র সংসদেও ১৯৮৮ ও ১৯৯৬ সালে প্রতিনিধত্ব করে বঙ্গবন্ধুর খুনিরা।
১৯৯৬ সালের ১২ই নভেম্বর ক্যুখ্যাত ইনডেমনিটি আইনটি বাতিল করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন শেখ হাসিনার সরকার। আর এভাবেই খুলে যায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ। এর ধারাবাহিকতায় বাঙালি জাতি হয় কলঙ্কমুক্ত।