শাশুড়ি-বৌমার বিবাদ চিরন্তন। তবে তার জেরে যে তাঁকে খুন হতে হবে এমনটা বোধহয় ভাবেননি কলকাতার হরিদেবপুরের সুজামনি।
সুজামনির বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি তাঁর বিধবা পুত্রবধূ সুজাতার উপর নিত্যদিন অত্যাচার চালাতেন। আর তার জেরেই খুন হতে হল তাঁকে। এমনকী তাঁর মৃতদেহ পাচারেরও চেষ্টা হয়।
শুক্রবার সময় তখন ভোর ৪.১০। প্রগতি ময়দান থানা এলাকার পশ্চিম চৌবাগার কাছে বাসন্তী হাইওয়ের উপর একটি হলুদ ট্যাক্সিকে দাঁড় করায় রাতের পেট্রোলিং-এর দায়িত্বে থাকা পুলিস। সেই সময় ট্যাক্সিতে দু’জন যাত্রী। একজন পুরুষ ও এক মহিলা। সবজি বোঝাই বস্তা নিয়ে যাচ্ছিল গাড়িটি। এরপর সেই গাড়িটি চেকিং করতে গিয়েই মিলল এক বৃদ্ধার মৃতদেহ। তদন্তে জানা গিয়েছে, মৃত ওই বৃদ্ধার নাম সুজামনি গায়েন (৬০)। তিনি হরিদেবপুরের কালিতলার বাসিন্দা।
পুলিস জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সুজামণি পুত্রবধূর বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন। রাতে পুত্রবধু সুজাতা তাঁর বাবা মা এবং মামা মিলে রাতের খাওয়া-দাওয়া সারেন। এরপর রাত তিনটে নাগাদ শুরু হয় ‘অপারেশন’। প্রথমে শাশুড়ির মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। তারপর তাঁকে শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়। খুনের পর একটি সবজির বস্তার মধ্যে দেহ ঢুকিয়ে খালে ফেলে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই ওই ট্যাক্সি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এই খুনের অভিযোগে, পুত্রবধূ সুজাতা গায়েন, তাঁর বাবা অজয় রাং, মা মলিনা মণ্ডল এবং এবং মামা বাসু মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ট্যাক্সি চালককেও। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।