বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে শুভেচ্ছা দূত থেকে বাদ দিলো দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এই বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডারকে দিয়ে আর কোনো প্রচারণা বা বিজ্ঞাপন করাবে না সংস্থাটি। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছে দুদক। ২০১৮ সাল থেকে দুদকের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশি এ অলরাউন্ডার।
সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এতে কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে কি না বা এ অবস্থাতেও তিনি (সাকিব) কমিশনের শুভেচ্ছাদূত থাকছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনের সচিব বলেন, ‘অভিযোগ এলেই তো সঙ্গে সঙ্গে কোনো কিছু হয় না। একটু সময় দেন। বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন দেখছে, অপেক্ষা করুন।’
মাহবুব হোসেন আরও জানান, সাকিব আল হাসান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার এবং দলের অধিনায়ক। তার সঙ্গে দুদকের ২০১৮ সালে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে যে চুক্তিটি হয়েছিল, সেটি ছিল বিনা পারিশ্রমিকে। তিনি দুদকের হয়ে তথ্যচিত্র তৈরিতে কাজ করবেন। তার সঙ্গে শুধু একবার ২০১৮ সালে যখন দুদকের ১০৬ কমপ্লেইন হটলাইন চালু হয়, তখন একটি তথ্যচিত্র করা হয়েছিল। পরে আমরা আর কোনো তথ্যচিত্র বা কোনো কার্যক্রম করিনি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি জুয়া সাইটের সঙ্গে চুক্তি, শেয়ারবাজারে কারসাজি ও কোম্পানিতে নিজের বাবার নাম জালিয়াতির অভিযোগ উঠে সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে। সরাসরি দুর্নীতি না হলেও এগুলোকে অনেকেই দুর্নীতি হিসেবে দেখছেন।