সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন মামলার আসামি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্য কনস্টেবল আব্দুল্লাহ।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে গুলি করার সময় অপেশাদার আচরণ করেছেন পুলিশের বরখাস্তকৃত পরিদর্শক লিয়াকত। তাকে দেখে মনে হচ্ছিল তিনি কোনো শিকারের জন্য দাঁড়িয়ে আছেন। ঘটনার সময় আকস্মিকভাবে এসে লিয়াকত ও এসআই নন্দদুলাল চেকপোস্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন এবং এপিবিএন সদস্যদের কোনো কথা বলতে নিষেধ করেন। বুধবার আদালতে দেয়া ১৭ পৃষ্ঠার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব কথা বলেন মামলার আসামি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্য মো. আবদুল্লাহ।
বুধবার কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ’র আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। বিকেল পৌনে পাঁচটা থেকে রাত সোয়া আটটা পর্যন্ত জবানবন্দি দেন তিনি।
জবানবন্দিতে আসামি মো. আবদুল্লাহ শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে সেদিন কী ঘটেছিল সে বিষয়ে তার বক্তব্য তুলে ধরেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে আসামি মো. আবদুল্লাহকে গাড়িতে তুলে র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যান তদন্তকারীরা। এ মামলায় গ্রেফতার এপিবিএনের অপর দুই সদস্য হলেন এসআই শাহজাহান ও কনস্টেবল রাজীব।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ সদস্য সাতজন। বাকি তিনজন মামলার সাক্ষী।
গত ১৭ আগস্ট এপিবিএনের তিন সদস্যকে জিজ্ঞাসাদের জন্য নেয়া হয়। ঘটনার সময় তারা শামলাপুর তল্লাশিচৌকির দায়িত্বে ছিলেন। পরের দিন ১৮ আগস্ট এই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে আদালতে তাদের ১০ দিনের আবেদন জানালে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা। তিনি মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ির নীলিমা রিসোর্টে ফিরছিলেন। এ সময় তার সাথে থাকা ক্যামেরাম্যান সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে আটক করে পুলিশ। পরে নীলিমা রিসোর্ট থেকে শিপ্রা দেবনাথকে আটক করা হয়। দুজনই এখন জামিনে মুক্ত।