ঢাকাসোমবার , ৯ নভেম্বর ২০২০
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আলোচিত রায়হান হত্যার প্রধান আসামী বরখাস্ত এসআই আকবর গ্রেফতার।

‌নি‌জেস্ব প্র‌তি‌বেদক।
নভেম্বর ৯, ২০২০ ৪:৫৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সিলেটের আলোচিত রায়হান হত্যার প্রধান অভিযুক্ত সাময়িক বরখাস্ত এসআই আকবর হোসেনকে গ্রেফতার করেছে জেলা ডিবি পুলিশ। সোমবার দুপুরে সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গা ঢাকা দেয়ার ২৬ দিন পর আজ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে ডিবি।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সাইফুল আলম।

এ‌দি‌কে কানাঘাট সীমা‌ন্তের স্থানীয় আদিবাসী সূ‌ত্রে জানা যায়, আসামী বরখাস্ত এসআই আকবর সীমা‌ন্তের আদিবাসীদের হা‌তে আটক হন। প‌রে খবর পেয়ে বি‌জি‌বি সদস্যরা কানাইঘাট থানা পু‌লিশের কা‌ছে রায়হান হত্যাকারী বরখাস্ত এসআই আকবর‌কে হস্তান্তর ক‌রেন।

কানাইঘাট সীমান্ত এলাকার আদিবা‌সী‌দের হা‌তে আটক রায়হান হত্যা মামলার প্রধান আসামী ভীতসন্ত্রস্ত বরখাস্ত এসআই আকবর‌।

উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর মধ্যরাতে সিলেট কোতোয়ালি থানার বন্দরবাজার ফাঁড়ির সাময়িক বরখাস্ত ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়া রায়হান নামে ওই যুবককে তুলে নিয়ে যায়। পরিবারের অভিযোগ- রায়হানকে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে আটকে রেখে চাঁদার দাবী এবং নির্যাতন করা হয়। পরের দিন সকালে তিনি মারা যান। নির্যাতনের সময় এক পুলিশের মুঠোফোন থেকে রায়হানের পরিবারের কাছে কল করে টাকা চাওয়া হয়।

পরিবারের সদস্যরা সকালে ফাঁড়ি থেকে পরে হাসপাতালে গিয়ে রায়হানের লাশ শনাক্ত করেন। এ ঘটনার শুরুতে ওই ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা ছিনতাইকারী সন্দেহে নগরের কাস্টঘর এলাকায় গণপিটুনিতে রায়হান নিহত হয়েছেন বলে প্রচার চালায়। কিন্তু গণপিটুনির স্থান হিসেবে যেখানকার কথা বলেছিল পুলিশ, সেখানে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের স্থাপন করা ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় এমন কোনো দৃশ্য দেখা যায়নি। এতে সন্দেহ হয় পুলিশের নির্যাতনের প্রতি। এ ঘটনার পর থেকে এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া পালিয়ে যায়। তাকে ধরার জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়।

এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা করলে এসএমপির একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে নির্যাতনের সত্যতা পায়। নিহত রায়হানের মরদেহে ১১১টি আঘাতের চিহ্ন উঠে এসেছে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে। এসব আঘাতের ৯৭টি ফোলা আঘাত ও ১৪টি ছিল গুরুতর জখমের চিহ্ন। এসব আঘাতগুলো লাঠি দ্বারাই করা হয়েছে। অসংখ্য আঘাতের কারণে হাইপোভলিউমিক শক ও নিউরোজেনিক শকে মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, কিডনিসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো কর্মক্ষমতা হারানোর কারণে রায়হানের মৃত্যু হয়েছে।

এরপর ১২ অক্টোবর ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই আকবর হোসেনসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। ১৩ অক্টোবর আকবর পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে যায়।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।