ঢাকারবিবার , ৮ নভেম্বর ২০২০
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সেতুর অভাবে লাখো মানুষের ভোগান্তি!

বি‌শেষ প্র‌তি‌নি‌ধি।
নভেম্বর ৮, ২০২০ ৬:৪৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে ৫ কিলোমিটার রাস্তার মাত্র তিনটি সেতুর জন্য লাখো মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অথচ এপথে তিনটি সেতু নির্মাণ করা হলে জেলার হরিরামপুর, ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয় ও মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে। সেই সঙ্গে মানিকগঞ্জের কয়েকটি উপজেলার লাখো মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।

বছরের প্রায় ৬ মাসে এ তিনটি স্থানে পানিতে তলিয়ে থাকে।
বর্ষা মৌসুমে বাঁশের সেতু আর না হয় নৌকায় খেয়া পারাপার হয়ে মানুষজন যে যার গন্তব্যে যান।

স্বাধীনতা পরবর্তী মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী-বাঠুইমুড়ি বেড়ি বাঁধের এ ৫ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা চলছে যুগের পর যুগ ধরে। একটু বৃষ্টিতে কাঁদা আর বর্ষা-বন্যায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকে না।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ ওই রাস্তায় সেতু নির্মাণের বার বার আশ্বাস দিলেও তা কার্যকর হতে দেখা যায়নি আজও।

তবে আবারও আশ্বাসের কথা জানান ঘিওর উপজেলা প্রকৌশলী সাজ্জাকুর রহমান। বলেন, চলতি অর্থবছরেই তিনটি সেতু নির্মাণ করা হবে।

তিনি আরো বলেন, বানিয়াজুরী-বাঠুইমুড়ি বেড়ি বাঁধ রাস্তায় তিনটি সেতুর অনুমোদন পাওয়া গেছে। সয়েল টেস্ট করার পর ডিজাইন ও সেতু নির্মাণের বাজেট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।

বানিয়াজুরী-বাঠুইমুড়ি বেড়ি বাঁধ ঘুরে দেখা গিয়েছে, মানুষের দুর্ভোগের নানা চিত্র। ৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের এ দীর্ঘ পথে নেই কোন পাকা সেতু। বেড়িবাঁধের তাড়াইল, নয়াচর ও বানিয়াজুরী অংশে তিনটি জায়গায় পানি প্রবাহের জন্য পথ রাখা হলেও দীর্ঘ ৪৫ বছরেও সেখানে কোনো পাকা সেতু নির্মাণ করা হয়নি। ফলে বছরের প্রায় ৬ মাস ওই তিনটি স্থানে পানিতে ভরপুর থাকে।

তাড়াইল এলাকার আমেজুদ্দিন বলেন, জন্মের পর থেকে শুনছি ব্রিজের কথা। এক সময় জেলার হরিরামপুর উপজেলার ঐহিত্যবাহী ঝিটকা হাটে যাতায়াতের অন্যতম রাস্তা ছিল বানিয়াজুরী-বাঠুইমুড়ি বেড়ি বাঁধটি।

বিশেষ করে ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয় এমনকি অন্যসব জেলার হাজার হাজার মানুষজন এ বেড়ি বাঁধের রাস্তা ব্যবহার করে ঝিটকা হাটে বেচা-কেনার জন্য যাতায়াত করতো। কিন্ত বেড়ি বাঁধের যোগাযোগ ব্যবস্থা এতোই নাজুক হয়ে পড়েছে যার ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই অচল হয়ে পড়ে মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা।

তিনটি ব্রিজ নির্মাণ করা হলে হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।