হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা আহমেদ শফী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ১০৫ বছর।
উল্লেখ্য, হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অসুস্থ হয়ে পড়েন আল্লামা শফী। রাতে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সকালে হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা মেডিকেল বোর্ডে বসেন।
এরপর শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় দুপুরে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেন। বিকেলে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে চট্টগ্রাম থেকে তাঁকে ঢাকার আজগর আলী মেডিকেলে ভর্তি করা হয় এবং সেখানেই তিনি আজ সন্ধ্যায় ৬.৪০ মিনিটে ইন্তেকাল করেন।হুজুরের ব্যক্তিগত খাদেম মাওলানা শফিউল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
চমেক হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, আল্লামা শফীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। তার অক্সিজেন হার্টে মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়ার পাশাপাশি ফুসফুসে পানি জমেছে। শ্বাসকষ্টও বেড়েছে। তাই তার উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেয় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ মাঠ থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়।।
ছাত্র বিক্ষোভের মুখে মাদ্রাসার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেয়ার পর বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে আল্লামা শফী অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় তিনি হাসপাতাল যেতে চাইলেও তাকে আটকে রাখে আন্দোলনকারীরা। রাত ১২টার দিকে মাদ্রাসার প্রধান গেটের সামনে প্রায় আধাঘণ্টা আল্লামা শফীকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি আটকে রেখেছিল আন্দোলনরত ছাত্ররা।
হেফাজতের এক নেতা জানান, দারুল উলুম মুইনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের হাতে লাঞ্ছিত ও ৩৬ ঘন্টা অবরুদ্ধ ছিলেন হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ আহমেদ শফী। এরপর তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এছাড়া মানসিকভাবেও ভেঙ্গে পড়েছিলেন তিনি।