২০২০ সালের জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। আজ বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত মঙ্গলবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে পিইসি ও সমমান পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্তের কথাও জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক না হয় সেক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণের বিষয়ে বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতি কী হতে পারে সে বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে পরবর্তী সভায় উপস্থাপনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর ও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয় অনলাইন বৈঠকে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনলাইন কার্যক্রম আরও ফলপ্রসূ করার অনুরোধ জানানো হয়। এছাড়া এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের বিষয়েও কাজ করছে মন্ত্রণালয়।
করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদেরকে উজ্জীবিত রাখতে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কারিগরি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী।
বৈঠকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং মন্ত্রণালয়ের অধীন অধীন দফতর সংস্থার কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন।
এদিকে, দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় গত ১৭ মার্চ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটির পর ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে অফিস খুলে যানবাহন চলাচল শুরু হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ৬ অগাস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে সে সময় জানানো হয়েছিল। পরে ওই ছুটি ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এখন আগস্ট মাসের শেষে এসে ছুটি ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হলো। এ সময় শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে।
দৈনিক অপরাজিত বাংলা