ঢাকাশুক্রবার , ২৭ অক্টোবর ২০২৩
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

২৮ অক্টোবর বিএনপি জামাত দেখবে ২০০৬ সাল: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ২৭, ২০২৩ ২:০২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আওয়ামী লীগের এই সমাবেশে প্রায় দুই লাখ লোকের সমাগম হবে। সমাবেশের বিকল্প স্থান নির্ধারণসহ সাত বিষয়ে জানতে চেয়ে পুলিশের দেওয়া চিঠির জবাবে এসব কথা বলেছে আওয়ামী লীগ। এর আগে আওয়ামী লীগের ওই শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ২০ অক্টোবর পুলিশের কাছে চিঠি দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন। ওই চিঠির জবাবে গত বুধবার বিকল্প দুটি স্থানের নামসহ সাত তথ্য চায় পুলিশ। সেই চিঠিতে সমাবেশে আগত লোকের সংখ্যা, সময়, বিস্তৃতি, কোন কোন স্থানে মাইক লাগানো হবে, অন্য দলের কেউ উপস্থিত থাকবেন কি না–সহ সাতটি তথ্য জানতে চাওয়া হয়।

পুলিশের চিঠির জবাবে গতকাল বৃহস্পতিবার রিয়াজ উদ্দিনের দেওয়া চিঠিতি বলা হয়, শনিবারের সমাবেশে লোকসমাগম সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে এবং সন্ধ্যা ৭টায় শেষ হবে। সমাবেশে প্রায় দুই লক্ষ লোকের সমাগম হবে।

সমাবেশের বিস্তৃতির বিষয়ে চিঠিতে বলা হয়, সমাবেশটি জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট থেকে পল্টন মোড়, জিপিও মোড়, শিক্ষা ভবন, গোলাপ শাহ মাজার, নগর ভবন, নবাবপুর সড়ক, মহানগর নাট্যমঞ্চ সড়ক, দৈনিক বাংলা মোড় এবং মতিঝিল সড়ক ও স্টেডিয়াম সড়ক পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। সমাবেশে বক্তব্য প্রচারের জন্য এসব স্থানে মাইক লাগানো হবে। চিঠিতে বলা হয়, সমাবেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোর নেতা–কর্মী, সমর্থক, নারী সংগঠন, তরুণ প্রজন্ম ও সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করবেন। সমাবেশে অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়। আওয়ামী লীগের দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, ২৮ অক্টোবর (শনিবার) শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আয়োজনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি (মঞ্চনির্মাণ ও প্রচার প্রচারণার কার্যক্রম) ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এমতাবস্থায় স্বল্প সময়ের মধ্যে অন্য কোনো ভেন্যুতে নতুনভাবে সমাবেশের প্রস্তুতি গ্রহণ করা দুরূহ ব্যাপার।

আওয়ামী লীগের এ সমাবেশ করছে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। চিঠিতে দলটির পক্ষ থেকে সমাবেশস্থল ও তার কাছাকাছি এলাকায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ সার্বিক বিষয়ে সহযোগিতা দিতে পুলিশের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছেন, ২৮ অক্টোবরই বড় আকারে সমাবেশের জন্য ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি শেষ। এ জন্য ঢাকায় দফায় দফায় সভা করেছে দলটির নেতারা। এতে দলের ইউনিট,ওয়ার্ড থেকে শুরু করে থানা পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেছে আওয়ামী লীগ।

ঢাকায় বিএনপি নাশকতা ঠেকাতে পাড়ায় মহল্লায় সতর্ক অবস্থানের থাকার পাশাপাশি মিছিল করতে শুরু করেছে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। যা আরো কয়েকদিন টানা চলবে। এসব কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা আওয়ামী লীগের নেতারা । গতকাল ঢাকার কয়েকটি স্থানে এমন মিছিল অনুষ্ঠিতও হয়েছে। এর মধ্যে যাত্রাবাড়ী এলাকায় সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম মনুর নেতৃত্বে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর পাশাপাশি মিরপুরে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ শান্তি ও উন্নয়ন মিছিল করে। এতে কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন। বিকেল ৩টায় মিরপুর বিআরটিএ অফিসের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি শেওড়াপাড়া হয়ে মিরপুর গোল- চত্বরে এসে শেষ হয়। গতকাল বিকেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আওতাধীন সূত্রাপুর, গেন্ডারিয়া ও ওয়ারী থানা (ঢাকা ৬ আসন) আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের প্রস্তুতি সভা ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহম্মেদ মন্নাফী। এ সময় কর্মীদের উদ্দেশ্যে মন্নাফী বলেন, এমনভাবে প্রস্তুতি নেবেন যেন বিএনপি জামায়াত ঘর থেকে বের হওয়ার সুযোগ না পায়। রাজপথ আমাদের দখলে থাকবে। বাঁশের মাথায় জাতীয় পতাকা নিয়ে আমরা মাঠে থাকব। দেখি কারা আসে শেখ হাসিনাকে নামাতে।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে ডেমরা থানাধীন ৬৪নং ওয়ার্ডের মান্নান স্কুল এ- কলেজ মার্কেটের অডিটরিয়ামে মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে এই বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই বিশেষ বর্ধিত সভার করে ডেমরা থানা আওয়ামী লীগ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী। মন্নাফী বলেন, তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত কোনো ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে আওয়ামী লীগ দাঁত ভাঙা জবাব দেবে। ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম মাসুদের সভাপতিত্বে ও ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও প্রয়াত এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লার জেষ্ঠ্যপুত্র আলহাজ্ব মশিউর রহমান মোল্লা সজলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শরফুদ্দিন আহমেদ সেন্টু ও মিজবাহুর রহমান ভূঁইয়া রতন, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির প্রমুখ।

গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর অন্তর্গত সকল কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলরদের সাংগঠনিক কর্মকান্ডকে গতিশীল করার লক্ষ্যে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সমন্বয়কারী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জনাব আতিকুল ইসলাম। নানক বলেন, কমিশনারদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে ঢাকা নগরবাসীর জানমাল এর নিরাপত্তা রক্ষায় আগামী ২৮ তারিখে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গী কর্মকান্ড প্রতিরোধের লক্ষে যা যা করণীয় তার সকল ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে, যাতে তারা ঢাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।

আগামীকাল (২৮ অক্টোবর) ঢাকায় সমাবেশ উপলক্ষ্যে গত ২৪ অক্টোবর বর্ধিত সভা করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও গত ২৫শে অক্টোবর ঢাকার দলটির ঢাকার সংসদ সদস্যরা, ঢাকার আশে-পাশের সংসদ সদস্য ছাড়াও ঢাকার জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে বসে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের অফিসে হওয়া ওই বৈঠকে থাকবেন দলের সহযোগী সংগঠনের নেতারাও ছিলেন। ওই বৈঠকে দলের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারা থেকে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় কে কত লোকজন নিয়ে আসবেন, সে অঙ্গীকার করেছেন তারা। এর মধ্যে ২ হাজার থেকে কেউ কেউ ৫০ হাজার পর্যন্ত লোক নিয়ে আসবেন বলে জানিয়েছেন।

ওই সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের নেতাদের ২৭ অক্টোবর রাতে না ঘুমানোর পরামর্শ দিয়ে বলেন, ২৭ তারিখ থেকে চোখে ঘুম থাকবে না। প্রয়োজনে নির্ঘুম রাত কাটাতে হবে। যেখানে আমার অস্তিত্বের প্রশ্ন, সেখানে ঘুম দিয়ে কী করব? বারে বারে না, এবারই এদের (বিএনপি) চিরতরে পরাজিত করতে হবে।

জানা গেছে, ইতিমধ্যে ঢাকায় দলের সাংগঠনিক কর্মসূচি বাড়াতে গত ১৮ই অক্টোবর দলের দুই সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে দায়িত্ব নেয়া হয়েছে। দলীয়ভাবে তাদের দায়িত্ব থাকতে দলটি ঢাকার সাংগঠনিক গতি বৃদ্ধিতে যা যা করনীয় তা করা। দলের ওই দুই নেতা তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকেরা মনে করে, ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের পর থেকে লাগাতার কর্মসূচিতে যাবে বিএনপি। এ জন্য ওই দিন বিএনপির যে সকল নেতা-কর্মী ঢাকায় আসবে তাদের ঢাকায় রেখে দিতে চাইবে দলটি। এর পর আগামী ৭ নভেম্বর কিংবা তারও পর পর্যন্ত কর্মসূচি দিয়ে সরকারকে বে কায়দায় ফেলার চেষ্টা করবে বিএনপি। কিন্তু এ অবস্থায় যাতে বিএনপি সরকারকে না ফেলতে পারে সে জন্য একাধিক কৌশল ঠিক রাখতে চায় আওয়ামী লীগ।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি যদি অরাজকতা করে তার জন্য আমাদের আগে থেকেই প্রস্তুতি আছে। যেখানে অরাজকতা করবে সেখানেই দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে। সেখানে যে দাওয়াই (ওষুধ) লাগে তা দেওয়া হবে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।