ফরিদপুরের নগরকান্দায় অন্তর নামের এক স্কুলছাত্র খুনের মামলায় ১৬৪ ধারায় তিন আসামির হুবহু একই ধরনের জবানবন্দি গ্রহণ করায় ফরিদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাইনুল ইসলামকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। তাকে আগামী ৮ অক্টোবর স্বশরীরে আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।হত্যা মামলার আসামিদের জামিন সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আজ আসামিদের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট নুসরাত ইয়াসমিন। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রুহুল কুদ্দুস কাজল। জামিন শুনানিতে ব্যারিস্টার কাজল আদালতকে বলেন, ২০১৮ সালের ২৮ জুন একদিনে তিন ঘণ্টার মধ্যেই ফরিদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসামিদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করেন। তিনজন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি হুবহু একই রকম। যা আইন অনুযায়ী হয়নি।
পরে আদালত এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য ফরিদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাইনুল ইসলামকে তলব করেন। একইসঙ্গে আসামিদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। আইনজীবী নুসরাত ইয়াসমিন বলেন, ২০১৮ সালের ৭ জুন রাতে অপহরণের পর ওই রাতেই গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে অন্তরকে হত্যা করা হয়। ওই মামলার দুই আসামি আজিজুল শেখ ও আশরাফ শেখ ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে জামিন আবেদন করলে আদালত নামঞ্জুর করেন।
আইনজীবী নুসরাত জানান, ট্রাইব্যুনালের ওই আদেশের বিরুদ্ধে দুই আসামি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আপিল আবেদন করেন। আজ আপিল শুনানিতে সেই দুজনসহ তিনজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি একই রকম হওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য ফরিদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে তলব করেন আদালত। বর্তমানে অন্তর হত্যা মামলাটি ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।