ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৮ অক্টোবর ২০২০
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

৭ মার্চকে ঐতিহাসিক দিবস ঘোষণা কর‌লো সরকার। ছু‌টি থাক‌ছেনা এই দিব‌সে।

স্টাফ রি‌পোর্টার
অক্টোবর ৮, ২০২০ ১:১১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

মন্ত্রীসভায় ৭ই মার্চ‌কে ঐতিহাসিক দিবস হি‌সে‌বে ঘোষনা ক‌রে‌ছেন সরকার। সে সা‌থে এখন থে‌কে ৭ই মার্চ দিব‌সে কোন ছু‌টি থাক‌বে না। একই সঙ্গে দিবসটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারিকৃত পরিপত্রের ‘ক’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

৭ অ‌ক্টোবর, বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই ঐতিহা‌সিক দিব‌সের অনুমোদন দেয়া হয়। উল্লেখ্য, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ঐতিহাসিক ৭ মার্চকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করে গেজেট জারির নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয় থেকে মন্ত্রীরা এই বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সীমিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “এ দিনটি (৭ মার্চ) ঐতিহাসিক দিন সবাই জানেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃঢ় বলিষ্ঠ নেতৃত্বের নির্দেশনা ও জাতীয় জাগরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেয়া ভাষণে। বঙ্গবন্ধুর দেয়া ৭ মার্চের ভাষণ এই দেশে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার মূল প্রেরণা। এই ভাষণকে কেন্দ্র করে স্বাধীনতার চূড়ান্ত মঞ্চ গড়ে ওঠে।”

মন্ত্রীপ‌রিষদ স‌চিব আরও বলেন, “৭ মার্চ ভাষণের নির্দেশনার আলোকে এ দেশের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এটার আন্তর্জাতিক গুরুত্বও আছে।”

উ‌ল্লেখ্য যে, ইউনেস্কো এই ভাষণটিকে ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করেছে। সেই বিবেচনায় জাতীয় জাগরণ ও স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম প্রেরণার উৎস হিসেবে দিবসটি উদযাপন করার বিষয়টি খুবই প্রাসঙ্গিক ব‌লে উল্লেখ ক‌রেন স‌চিব। তাই মন্ত্রিপরিষদে প্রস্তাব হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এ প্রস্তাবটা দিয়েছে ব‌লে জানান মন্ত্রীপ‌রিষদ স‌চিব।

তি‌নি বলেন, “এ প্রস্তাবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় আছে, যেমন- ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সঠিকভাবে উপস্থাপন ও তাৎপর্য তুলে ধরা দিবসটি পালনের যৌক্তিকতা। দিবসটি উদযাপনের মাধ্যমে দেশের জনগণের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপূর্ণ বিকাশ লালন-পালন ও যথাযথ চর্চা করা সম্ভব হবে। সকল শিক্ষার্থী ও মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে পরিপূর্ণ সংস্থাপন করার প্রয়াস বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।”

‘এ দিন কোনো ছুটি থাকবে না’ উল্লেখ ক‌রে তি‌নি ব‌লেন, “সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর, সংস্থা এই দিবসটি তাদের নিজস্ব কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপন ও বাস্তবায়ন করবে।”

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।