ঢাকাসোমবার , ১২ ডিসেম্বর ২০২২
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আজ মজলুম জননেতা ভাসানীর ১৪৩তম জন্মদিন

অনলাইন ডেস্ক
ডিসেম্বর ১২, ২০২২ ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আজ মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪৩তম জন্মদিন।
কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের পক্ষে আজীবন সংগ্রাম
করা অবিসংবাদিত এই নেতা ১৮৮০ সালের আজকের
দিনে ( ১২ ডিসেম্বর) সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি সিরাজগঞ্জে জন্মগ্রহণ করলেও তার জীবনের বড়
অংশই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে।
তিনি তার কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
দীর্ঘদিন তিনি তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন।

মাওলানা ভাসানী দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের
মুক্তির জন্য সারা জীবন আন্দোলন ও সংগ্রাম করেছেন।

তিনি ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী প্রধান নেতাদের মধ্যে অন্যতম।

১৮৯৭ সালে পীর সৈয়দ নাসীরুদ্দীনের সঙ্গে আসাম যান ভাসানী।
ইসলামিক শিক্ষার উদ্দেশ্যে ১৯০৭ সালে দেওবন্দ গিয়ে
দুই বছর অধ্যয়নের পর আসামে ফিরে আসেন।
১৯১৭ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ ময়মনসিংহ সফরে
এলে তার ভাষণ শুনে অনুপ্রাণিত হন ভাসানী।

১৯১৯ সালে কংগ্রেসে যোগদানের পর খেলাফত
আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ১০
মাস কারাভোগ করেন।
১৯২৬ সালে আসামে প্রথম কৃষক-প্রজা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটান তিনি।
১৯২৯ সালে আসামের ধুবড়ী জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের
ভাসানচরে প্রথম কৃষক সম্মেলন করেন।
এর পর থেকে তার নামের শেষে ভাসানী যুক্ত হয়।

রাজনীতির পাশাপাশি সমাজ সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন ভাসানী।
১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার পিজি হাসপাতালে
(বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়)
চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
পরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

১৯২৫ সালে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার জমিদার শামসুদ্দিন
আহম্মদ চৌধুরীর মেয়ে আলেমা খাতুন ভাসানীকে বিবাহ করেন।
যিনি (পীর মা হিসেবে খ্যাত) তার বাবা পাঁচবিবির
জমিদার কর্তৃক পৈতৃক সুত্রে প্রাপ্ত সকল জমি মওলানা
ভাসানীর জনকল্যাণমূলক কাজে (হক্কুল এবাদ মিশন)
দান করেন।
তার ২ কন্যা সন্তান এবং ২ ছেলে সন্তান ছিল।

মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর
দ্বিতীয় সহধর্মিনী হামিদা খানম ভাসানী ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে
বগুড়া জেলার আদমদিঘি থানার কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
পিতা কাসেম উদ্দিন সরকার জমিদারশ্রেণিভুক্ত একজন
সমাজ হিতৈষি ধর্মপ্রাণ মুসলমান ছিলেন।
অত্র এলাকায় কৃষক সংগঠনের রেশ ধরেই মওলানা
ভাসানীর সাথে তার পরিচয়।

১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ ডিসেম্বর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে দুরারোগ্য ক্যান্সার ব্যাধিতে মত্যুবরণ করেন হামিদা খানম।
তার একটি ছেলে সন্তান ও দুইটি কন্যা সন্তান ছিল।

ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০২ সালে
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তাকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।
২০০৪ সালে বিবিসি জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি
তালিকায় তিনি ৮ম হন।
২০১৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার স্কুল
পাঠ্যক্রমগুলিতে তার উপস্থিতি হ্রাস করে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।