নির্বাচন কমিশনের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চার সদস্যের নির্বাচনী এক্সপার্ট টিমের বৈঠক শুরু হয়েছে। রোববার বেলা ১১টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সাথে এই বৈঠক শুরু হয়। ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে বৈঠকে কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন। অন্যদিকে ইইউ ইলেকশন এক্সপার্ট মিশনের সবাই এতে উপস্থিত রয়েছেন।
ইইউ প্রতিনিধিদলের সদস্যরা হলেন ডেভিড নোয়েল ওয়ার্ড (ইলেকশন এক্সপার্ট), আলেকজান্ডার ম্যাটাস (ইলেকটোরাল অ্যানালিস্ট), সুইবেস শার্লট (ইলেকটোরাল অ্যানালিস্ট) এবং রেবেকা কক্স (লিগ্যাল এক্সপার্ট)।
এর আগে গত ২৯ নভেম্বর ঢাকায় আসেন ইইউ ইলেকশন এক্সপার্ট টিম। বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ কোনো পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে না ইইউ। গত ২০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে এ সিদ্ধান্ত জানায় ইউরোপের ২৭ দেশের এই জোট।
চিঠিতে ইইউ জানিয়েছিল, বাংলাদেশে নির্বাচনের যথাযথ পরিবেশ নেই। তাই বাংলাদেশে তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণে কোনো পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না।’
ওই চিঠিতে বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক মিশন পাঠানোর মতো তহবিল না থাকার বিষয়টিও উল্লেখ করেছিল ইইউ।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন দেখতে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার ৮৭ জন পর্যবেক্ষক ইতোমধ্যে আবেদন জানিয়েছে। এছাড়া ৩৪ দেশ ও চারটি সংস্থার ১১৪ জন পর্যবেক্ষককে ভোট দেখতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ হয়েছিল গত ৩০ নভেম্বর। সেখানে ৩০ রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে ২৭১৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দেয়।
জমা দেয়া মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই চলবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।
এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। গত ২ নভেম্বর সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটারসংখ্যা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ছয় কোটি সাত লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন। নারী ভোটার পাঁচ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২।