ঢাকাশুক্রবার , ১১ আগস্ট ২০২৩
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরে পেতে বিএনপি’র ‘যুদ্ধ ঘোষণা’

অনলাইন ডেস্ক
আগস্ট ১১, ২০২৩ ৯:৫৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরে পেতে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ করেছে বিএনপি। বিএনপি নেতারা বলছেন তাদের একটাই লক্ষ্য।
আর তা হলো জীবন দিয়ে হলেও বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে এই যুদ্ধে জয়লাভ করা।

সরকার পতনের এক দফা কর্মসূচি হিসেবে রাজধানীতে গণমিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপি মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতারা এ কথা বলেন।

সরকার পতনে বিএনপির এক দফার তৃতীয় কর্মসূচি ছিলো রাজধানীতে জুড়ে এই গণমিছিল।
এতে যোগ দিতে গাবতলী, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা জড়ো হন শাহজাদপুরের সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে।
সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতারা।
তাদের সাফ কথা সরকারকে এবার বিদায় নিতেই হবে।

মিছিল শুরুর আগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এখন একটাই দাবি শেখ হাসিনার পদত্যাগ, এর বাইরে কোনো দাবি নাই।

তিনি বলেন, সরকার নানা ক্যারিকেচার করে অতীতের মতো আবারও কারচুপির নির্বাচন করে ক্ষমতায় যেতে চায়।
কিন্তু মানুষ এবার মেনে নেবে না, সে নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। সমস্ত মানুষ আজ একতাবদ্ধ।

সরকারের দমন-পীড়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যতই কারাগারে নেয়া হোক, টিয়ারশেল মারুক, নির্যাতন করুক এবার আর আন্দোলন রুখা যাবে না।
খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, হাজার হাজার নেতাকর্মী কারাগারে।

তিনি বলেন, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

বিএনপির দাবি আওয়ামীলীগ ও নির্বাচন কমিশন যৌথভাবে আবারও ২০১৪ ও ১৮ সালের মতো নির্বাচনের নামে খেলা শুরু করেছে।
তাদের সাবধান হবার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ইসি দুটি দলকে নিবন্ধন দিয়েছে, কেউ তাদের চেনে না।
উদ্দেশ্য ভিন্ন, তাদের দিয়ে নির্বাচন নির্বাচন খেলা খেলতে চায় সরকার, তবে এবার সেই খেলা খেলতে দেয়া হবে না।
এবার জীবনপণ লড়াই, কোনো ভয়ভীতি তাদের আটকে রাখতে পারবে না। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারকে সরাতে সক্ষম হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি বলেন, গণমিছিলের মধ্যে দিয়ে জানিয়ে দিতে চাই সরকারের দিন শেষ।
মানে মানে না সরলে ফয়সালা হবে রাজপথে। সরকারের পদত্যাগ না দেখা পর্যন্ত এই আন্দোলন থামবে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারকে বিদায় করার জন্য, মানুষ আজ প্রস্তুত।
সরকার যাদের ওপর ভর করে ক্ষমতায় থাকার পরিকল্পনা করছে তাদের মনে কম্পন শুরু হয়ে গেছে। এখন সকলকে একতাবদ্ধভাবে জয়ের দিকে এগুতে হবে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, এই সরকারের আমলে সবকিছু লুটপাট হয়ে গেছে, গণতন্ত্র ভূলুন্ঠিত।
সবাইকে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সরকারকে হটিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে।
লড়াইয়ে সবাই একসাথে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিজয় অর্জন না হওয়া আন্দোলন চলবে।

বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, সরকার মনে করছে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে।
বিএনপি আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে উৎখাত করা হবে।
শেখ হাসিনার সময় শেষ, থাকতে পারবে না। এসময় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখার আহ্বানও জানান তিনি।

নেতাদের বক্তব্যের পর শুরু হয় গণমিছিল। উত্তর বাড্ডা থেকে গুলশান লিংক রোড হয়ে রামপুরা ব্রিজের দিকে এগিয়ে যায় মিছিলটি।
পরে রামপুরা বাজার পার হয়ে মালিবাগ চৌধুরী পাড়া আবুল হোটেলের মোড়ে গিয়ে গণমিছিল শেষ হয়।

এদিকে যাত্রাবাড়ী, সায়দাবাদ, গুলিস্তান ও লালবাগসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আরেকটি মিছিল নিয়ে কমলাপুর স্টেডিয়াম এলাকায় জড়ো হন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

সেখানে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসসহ সিনিয়র নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগের সহযোগী প্রতিষ্ঠান
হিসেবে নির্বাচন কমিশন তফশিল ঘোষণার পায়তারা করছে। যেকোনো মূল্যে তা প্রতিহত করার ঘোষণা দেন তারা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্রর রায় বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে।
কিন্তু, কেউ যদি অশান্তি তৈরি করতে চায় তাহলে প্রতিহত করা হবে।
সরকারের পাতানো নির্বাচনে ফাঁদে যেন কেউ না পড়ে, সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে।

এরপর শুরু হওয়া গণমিছিল কমলাপুর স্টেডিয়াম থেকে শুরু হয়ে মুগদা, খিলগাঁও হয়ে এগুতে থাকে। বিকেল পাঁচটা নাগাদ মিছিলটি মালিবাগ রেলগেট এলাকায় পৌঁছায়।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।