ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১০ আগস্ট ২০২৩
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঘরে বসে নেতাদের আন্দোলন, কঠোর অবস্থান নিয়েছে বিএনপি হাইকমান্ড!

অনলাইন ডেস্ক
আগস্ট ১০, ২০২৩ ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে শীর্ষ নেতাদের ঘরে বসে থাকার প্রবণতা বিএনপিতে দীর্ঘদিনের।
সঙ্গত কারণে গত একদশকে সরকারবিরোধী কোনো আন্দোলন সফল হয়নি।
এর ফলে কিন্তু মামলা থেকে রেহাই পাওয়া যায়নি।
ফলে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হওয়ার পাশাশি চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি দলটি।
সরকারকে চাপে ফেলতে লম্বা সময় নিয়ে পরিকল্পনামাফিক কর্মসূচি দিয়েও ‘অনেক আশার’
২৯ জুলাইয়ের কর্মসূচিও প্রতাশা পূরণ করতে পারেনি।
এ জন্য পদ নিয়ে ঘরে বসে থাকা নেতাদের বিষয়ে এবার কঠোর অবস্থান নিয়েছে দলটির হাইকমান্ড।
পরিষ্কার জানানো হয়েছে, বিএনপি করতে হলে ঘরে বসে রাজনীতি চলবে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৯ জুলাই ঢাকার
প্রবেশপথে দলের অবস্থান কর্মসূচি সফল না হওয়ায় বিএনপির হাইকমান্ড অত্যন্ত কঠোর পথে গেছে।
এক দফার চলমান আন্দোলন সফলে যত বড় নেতাই হোক না কেন, দল এখন আর কাউকেই ছাড় দিবে না।
এমনকি স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরও আগামীতে কর্মসূচি সফলে মাঠে নামতে হবে।
হাইকমান্ড মনে করে, সিনিয়র নেতারা কর্মসূচিতে থাকলে জুনিয়র নেতারা মাঠে নামতে সাহস পায়।
এ ছাড়া সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে না নামলে চূড়ান্তভাবে আন্দোলন সফল হবে না।
বিএনপি এবার আন্দোলন সফল করতে বদ্ধপরিকর।
তাই ঢাকায় মহাসমাবেশের আগে হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দেওয়া হয়।
সেখানে বলা হয়, চলমান আন্দোলনে যারা মাঠে থাকবে, আগামীতে তাদেরই দলে মূল্যায়ন করা হবে। অন্যথায় বিবেচনার কোনো সুযোগ থাকবে না।

সূত্রমতে, এখন থেকে সিদ্ধান্ত হচ্ছে, কর্মসূচি বাস্তবায়নে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সব পদধারী নেতাকেই মাঠে থাকতে হবে।
আগামী সেপ্টেম্বর থেকে ‘অলআউট’ আন্দোলন প্রক্রিয়ায় পদ-পদবি নিয়ে ঘরে বসে থাকা নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এরই মধ্যে দায়িত্বে অবহেলায় ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণকে ‘অব্যাহতি’ দেওয়ার মধ্য দিয়ে এই প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিএনপির হাইকমান্ড।
এটাকে দলের নিষ্ক্রিয় নেতাদের জন্য ‘কঠোর বার্তা’ বলে মনে করা হচ্ছে।

জানা যায়, পুলিশের অনুমতি ছাড়া অবস্থান কর্মসূচিকে ঢাকায় দলের সাংগঠনিক সক্ষমতা যাচাইয়ে ‘টেস্ট কেস’ হিসেবে নিয়েছিল হাইকমান্ড।
বিএনপির মূল্যায়ন, লাখ লাখ নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে মহাসমাবেশ সফল হলেও সমন্বয়হীনতা
ও নেতাকর্মীরা ব্যাপকহারে মাঠে না নামায় অবস্থান কর্মসূচি সফল হয়নি।
কর্মসূচিতে সিনিয়র কয়েকজন নেতাসহ দলের মধ্যমসারির নেতাদের ভূমিকায় হাইকমান্ড খুবই নাখোশ।
একই সঙ্গে দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়েও চিন্তিত বিএনপি।
এ ছাড়া অবস্থান কর্মসূচি থেকে যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর পালানো এবং
ব্যাপক নেতাকর্মী ছাড়া মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকেও ভালোভাবে নেয়নি হাইকমান্ড।
সব মিলে এই কর্মসূচি ঘিরে দলের সাংগঠনিক দুর্বলতার বিষয়টি সামনে চলে এসেছে।
তবে পুলিশ ও সরকারি দলের মারমুখী অবস্থান এবং দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের
ওপর পুলিশি হামলার ঘটনায় সাংগঠনিক দুর্বলতার বিষয়টি ওইভাবে সামনে আসেনি।
এ ছাড়া সমন্বয় নিয়ে অন্যদের নানা সমালোচনা থাকলেও কর্মসূচি সফলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের
জন্য বিএনপির বাণিজ্য-বিষয়ক সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমেদ সবার বাহবা পাচ্ছেন।
ওই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সালাহ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে অর্ধ ডজন মামলা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অবস্থান কর্মসূচি সফল না হওয়ার নেপথ্য কারণ এবং কোন কোন নেতা,
কেন সেদিন মাঠে নামেনি- হাইকমান্ডের নির্দেশে সেই তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
এ ছাড়া কোন নেতা কর্মসূচিতে যাচ্ছেন, কে যাচ্ছেন না- ভিন্ন পদ্ধতিতে সেটাও মনিটরিং করছে হাইকমান্ড।
অবস্থান কর্মসূচিতে দায়িত্বে অবহেলার কারণে গত মঙ্গলবার ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম
শ্রাবণকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়- যদিও এ ক্ষেত্রে অসুস্থতার কারণ দেখানো হয়েছে।
ছাত্রদল সভাপতির ওইদিন ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের উত্তরা এলাকায় থাকার কথা ছিল।
অভিযোগ উঠেছে, তিনি সেখানে যাননি।
বিকালের দিকে তিনি খিলক্ষেত এলাকায় ঝটিকা মিছিল করেন।

এদিকে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করা অনেক নেতাই এখন পদ হারানোর আতঙ্কে রয়েছেন।
তবে এ ক্ষেত্রে ভিন্ন আলোচনাও রয়েছে মাঠে।
অনেকে মনে করেন, এক দফার আন্দোলন যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে যাচ্ছে, সেই মুহূর্তে ‘একটি কর্মসূচির ব্যর্থতা’ বিবেচনায় নিয়ে দল থেকে নেতাদের অব্যাহতি দেওয়া যুক্তিসঙ্গত হবে না।
২৯ জুলাইয়ের কর্মসূচির বিষয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মনে করেন,
দলের নেতাদের কারও ‘সদিচ্ছার অভাব ছিল না, কিন্তু সমন্বয়হীনতার’ বিষয় ছিল।

যাযাদি/ এস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।