ফ্রান্সে মোহম্মদের কার্টুন দেখানো নিয়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান কড়া বিরোধিতা করেছে। এ দু’টি দেশই চীনের পরম বন্ধু দেশ। এমনকি ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে ইসলামফোবিয়া প্রচারের অভিযোগ তোলা হয়েছিল পাকিস্তানের তরফ থেকে। বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্ম সংগঠনগুলো ফ্রান্সের দূতাবাস ঘেরাও থেকে শুরু করে ফ্রান্সের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক পর্যন্ত বাতিল করার দাকী তোলেন। কিন্তু, বন্ধু চীনের সরকারি টেলিভিশনে মোহম্মদ (সাঃ) ছবি দেখানো নিয়ে চুপ এখন উভয় দেশ সহ পুরো মুসলিম বিশ্ব।।
উল্লেখ্য, চীনের সরকারি টিভি চ্যানেল সেন্ট্রাল টেলিভিশনে সম্প্রতি মুহাম্মদ (সাঃ) ক্যারিকেচার দেখানো হয়েছিল। উইঘুর অ্যাক্টিভিস্ট আর্সালান হিদায়ত চাইনিজ টিভি সিরিজের এই ক্লিপ ট্যুইট করেছিলেন। ওই ক্লিপে তাং রাজবংশের দরবারে এক আরব দূতকে দেখানো হয়েছিল। ওই আরব দূত পয়গম্বর মোহম্মদের একটি পেন্টিং চীনের সম্রাটের হাতে তুলে দিচ্ছেন, সেটা দেখানো হয়েছিল।
তবে, চীনের এই কাজ নিয়ে পাকিস্তান সমেত বিশ্বের কোনও মুসলিম দেশ গুলো মুখ খোলেনি। এমনকি তুর্কির প্রেসিডেন্ট এর্দোগানও এখনও চুপ করেই আছে। এছাড়াও পাকিস্তান সমেত সমস্ত মুসলিম দেশগুলোই চীনে উইঘুর মুসলিমদের প্রতি হওয়া অনাচার নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেই থাকে। এমনকি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান একবার এও বলেছিলেন যে, সেটি চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আর এই নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চান না।
চীনের টিভি চ্যানেলে এভাবে মুহাম্মদ (সাঃ) ক্যারিকেচার দেখানো নিয়ে সবাই হতবাক। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই প্রশ্ন করেছেন যে, এরকম ভাবে পয়গম্বরের ক্যারিকেচার দেখানো কি ধর্মের অবমাননা না? আবার অনেকে এটাও বলেছেন যে, তাহলে এবার কি মুসলিম বিশ্ব চীনের টিভিতে পয়গম্বর মুহাম্মদ (সাঃ) এর ক্যারিকেচার দেখানোর জন্য চীন আর টিভিকে বয়কট করবে?
সম্প্রতি হেফাজতে ইসলামের নব্য মহাসচিব বাবুনগরী ফ্রান্সের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় বলেছিলেন, “প্রয়োজনে হেঁটে গিয়ে ফ্রান্স ঘেরাও করা হবে।”
উল্লেখ্য যে, এখন পর্যস্ত চীনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কিংবা ফ্রান্সের কোন সরকার বা ধর্মীয় সংগঠনগুলোর বক্তব্য পাওয়া যায় নি।