রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজে ছাত্রলীগ নেত্রীদের দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্বের ঘটনা রূপ নিয়েছে সংঘর্ষে। এমনকি আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এরপর ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের এমন উচ্ছৃঙ্খল আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল জানিয়েছে, সাধারণ ছাত্রীরা ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে নিজেদেরকে নিরাপদ বোধ করে না। কারণ সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিতি খাতায় নাম লিখতে গেলে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা তাদের ছবি তুলে রাখে এবং পরবর্তীতে রুমে ডেকে নিয়ে হুমকি-ধামকি ও কুপ্রস্তাব দেয়।
সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল স্বাক্ষরিত ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে ছাত্রলীগের ইডেন কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সামিয়া আক্তার বৈশাখী গণমাধ্যমের নিকট যে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, তাতে ছাত্রলীগের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব এবং তাদের রাজনীতির প্রকৃত বীভৎস চেহারা আবারও সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিকট সুস্পষ্টভাবে উন্মোচিত হয়েছে। বৈশাখী স্পষ্টভাবে বলেছেন, সাধারণ ছাত্রীরা ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে নিজেদেরকে নিরাপদ বোধ করে না।
কারণ সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিতি খাতায় নাম লিখতে গেলে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা তাদের ছবি তুলে রাখে এবং পরবর্তীতে রুমে ডেকে নিয়ে হুমকি-ধামকি ও কুপ্রস্তাব দেয়। তিনি তার সাক্ষাৎকারে সংগঠনের শীর্ষ নেত্রীদের যেসব ‘বিজনেসের’ কথা উল্লেখ করেছেন সেগুলো উদ্ধৃত করাকেও ছাত্রদল বিব্রতকর এবং অরুচিকর বলে মনে করে। ছাত্রলীগের নেতা-নেত্রীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিজেদেরকে প্রশাসনের চাইতেও প্রভাবশালী এবং অপ্রতিরোধ্য মনে করে।
রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাইফ মাহমুদ জুয়েল বলেন, সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগের দেউলিয়াত্ব ও কদর্য রূপটিই উন্মোচিত হয়েছে গতকালের ঘটনায়। প্রশাসন, অবৈধ অস্ত্র ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের সহযোগে বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রদলকে ক্যাম্পাসের বাহিরে রেখে ছাত্রলীগ যে দুর্বৃত্তায়িত, দেউলিয়াত্ব ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের জিম্মি করার এবং তাদেরকে দিয়ে নানান ধরণের বেআইনী ও অপরাধমূলক ‘বিজনেস’ করার অসুস্থ অপরাজনীতির চর্চা করছে, ইডেনের ঘটনাটি তার একটি উদাহরণ মাত্র। নির্বিঘ্নে এসব বিজনেস ও অপকর্ম করে যাওয়ার জন্যই তারা ছাত্রদলকে ক্যাম্পাসের বাহিরে রাখতে চায়।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের জিম্মি করার যে অপরাজনীতি ছাত্রলীগ চর্চা করছে, ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে সেই অপরাজনীতিকে রুখে দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।