ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৮ জুলাই ২০২২
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ছোটমনি নিবাসে পাঠানো হচ্ছে মায়ের পেট ফেটে জন্ম নেয়া শিশুটির

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ২৮, ২০২২ ১০:৪০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মায়ের পেট ফেটে অলৌকিকভাবে জন্ম নেয়া সেই শিশুটিকে পাঠানো হচ্ছে রাজধানীর আজিমপুরে অবস্থিত ‘ছোটমণি নিবাসে।শুক্রবার (২৯ জুলাই) সকাল ১০ টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাকে রাজধানীর শিশু নিবাসে পাঠানো হবে। জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপপরিচালক মো. ওয়ালীউল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সুবিধা বঞ্চিত শিশু হিসেবে শিশু কল্যাণ বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা আজিমপুর ছোটমনি নিবাসে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে আমরা কারোর তত্বাবধানে নয়, সম্পুর্ণ সরকারী তত্বাবধানে ছোটমনি নিবাসে পাঠানো হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শিশুটির শিশু কল্যাণ সভা সদস্য এবং পরিবার সিদ্ধান্ত অনুযায়ি ফাতেমা নাম রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, নবজাতক শিশুটির লালন পালনের জন্য শিশু কল্যাণ সভার সদস্যদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সমাজসেবা অধিদফতর পরিচালিত ঢাকার আজিমপুরের ছোটমনি নিবাসে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে পরিবারের সদস্যদের মতামত নেয়া হয়েছে।

নবজাতক শিশুটির দাদা মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু বলেন, প্রশাসন যে উদ্যোগ নিয়েছে এতে আমরা খুশি। দুই বছর লালন-পালন শেষে ফাতেমা আবারও আমাদের মধ্যে ফিরে আসবে। পরিবারের সবার ইচ্ছা ছিল নবজাতক শিশুটির নাম ফাতেমা রাখা হবে। জেলা প্রশাসক এবং কমিটির সদস্যরা সবাই মিলে ফাতেমা নাম রাখায় আমরা খুশি।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচারক ওয়ায়েজ উদ্দিন ফরাজি বলেন, সড়কে জন্ম নেয়ার পর ওই নবজাতক নগরীর লাবিব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে গত সোমবার (১৮ জুলাই) রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে তার জন্ডিস, ঘাড়ে এবং ডান হাতে ফ্র্যাকচার ধরা পড়ে। এ ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড গঠন করে হাসপাতালের এনআইসিইউ বিভাগে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে নবজাতকের জন্ডিস ভালো হলেও বুকের ও ডান হাতের হাড়ের ফ্র্যাকচার পুরোপুরি ভালো হতে আরও কয়েকদিন লাগতে পারে।

গত ১৬ জুন দুপুরের পরে উপজেলার রাইমনি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম (৪০), তার অস্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রত্না আক্তার (৩০), মেয়ে সানজিদা আক্তারকে (৬) নিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাতে ত্রিশালে আসেন। পৌর শহরের খান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় ময়মনসিংহগামী একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে জাহাঙ্গীর আলম, স্ত্রী রত্না এবং মেয়ে তিনজনেরই মৃত্যু হয়। এ সময় ট্রাক চাপায় রত্নার পেট ফেটে কন্যা শিশুর জন্ম হয়।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।