টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল ঘিরে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড যেন উৎসবের মঞ্চ। ম্যাচের আগে পাকিস্তানি সমর্থকদের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে। ইংলিশ ফ্যান গ্রুপ বার্মি-আর্মির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চিৎকার করেছে তারা। ভক্তদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন অ্যারন ফিঞ্চ ও ইয়ন মরগ্যানসহ তারকারা।
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ক্যাপ্টেনের মুখে হাসি। ভক্তদের সেলফির আবদার মেটাতে কার্পণ্য করেননি অ্যারন ফিঞ্চ। তার নেতৃত্বাধীন দল এবারের আসর সুপার টুয়েলভ থেকে বিদায় নিলেও মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ফ্যান জোনের কেন্দ্রেই থাকলেন।
আরেক বিশ্বজয়ী অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যানকেও ঘিরে ধরে ভক্তরা। ২০১৯ সালে তার অধীনে ওডিআই ওয়ার্ল্ডকাপ জেতা ইংল্যান্ড, এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে। নিশ্চয়ই সাবেক সতীর্থদের জন্য প্রার্থনা করছেন মরগ্যান।
মাঠের ক্রিকেটারদের মতোই লড়াই চলেছে পাকিস্তান ও ইংল্যান্ডের ফ্যানদের। বিখ্যাত ইংলিশ বার্মি আর্মির চ্যান্ট শোনা গেছে এমসিজির আঙিনায়।
সমর্থকরা বলেন, ‘প্রথমদিন থেকেই দলকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। এখন আমরা ফাইনালে। যেভাবে দলটা ফাইনালে এসেছে, তাতে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপকে মনে পড়ে যাচ্ছে। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে আশা করি। এখানকার পরিবেশ জাঁকজমকপূর্ণ হবে। দলকে নিয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী। আমরা পাকিস্তান-ভারত ফাইনালের আশা করেছিলাম। কিন্তু ভারত তো হেরে গেল। তবে আমরা জিতব।’
অন্যদিকে ইংলিশ ফ্যানরা বলেন, ‘দিনটি আমাদের হবে। ফাইনালে আমরাই জিতব। ১৯৯২ সালের প্রতিশোধ নেয়ার সময় এসেছে। আমি এখনো ওই হার ভুলতে পারিনি। এবার আমরা জিতবই।’
নিরপেক্ষ সমর্থকরাও বেছে নেয় নিজ নিজ দলকে। তবে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ানদের বেশিরভাগই সমর্থন দিচ্ছে পাকিস্তানকে।
তারা বলেন, ‘আমরা অস্ট্রেলিয়ানরা ব্রিটিশদের পছন্দ করি না। কিন্তু উপমহাদেশীয় ক্রিকেট খুব পছন্দ করি। তাই পাকিস্তানকে সাপোর্ট করব।’
ফ্যানজোনে শোভা পেয়েছে জার্সি স্টোর, নানা রকম খাবারের দোকান। সঙ্গে বিভিন্ন ঘরানার মিউজিকে ক্রিকেটীয় পিকনিকের আমেজ এমসিজিতে।