ডা. জাহেদ উর রহমানকে ঘিরে বিতর্ক: ব্যক্তিগত ভিডিও, ব্ল্যাকমেইল অভিযোগ ও রাজনৈতিক প্রভাব !!
বাংলাদেশে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত ডা. জাহেদ উর রহমানকে ঘিরে সম্প্রতি একটি ব্যক্তিগত ভিডিওকে কেন্দ্র করে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে নানা হাসিঠাট্টা হলেও, কিছু মহলে এটি আরও গুরুতর রাজনৈতিক প্রশ্ন উত্থাপন করছে।
অভিযোগ কী?
অভিযোগ রয়েছে, উক্ত ভিডিও বিএনপির নেত্রী রুমিন ফারহানার হাতে রয়েছে এবং সেটি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ডা. জাহেদকে সামাজিকভাবে ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে। এটি আর্থিক নয়, বরং রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক স্বার্থে চাপ প্রয়োগের একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
এমনকি কোন সভায় যোগ দেবেন, কোন কূটনৈতিক মিশনের সাথে যোগাযোগ রাখবেন—এসব ক্ষেত্রেও ওই ভিডিওর ভয় দেখানো হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে এসব দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি, এবং সংশ্লিষ্ট কারো কাছ থেকেও এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
সাম্প্রতিক সময়ে ডা. জাহেদ সরকার-ঘনিষ্ঠ সভা-সমাবেশে সংস্কার ও নীতি বিষয়ক নানা মতামত দিচ্ছেন। তাঁর বক্তব্য ও অবস্থান অনেক সময় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। কিন্তু তিনি যদি সত্যিই ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে থাকেন, তবে তাঁর বক্তব্য কতটা স্বাধীন আর কতটা প্রভাবিত—সেই প্রশ্ন এখন সামনে আসছে।
বিশ্লেষকদের দৃষ্টিতে
বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস নতুন ঘটনা নয়। অতীতে বেশ কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে তাদের অবস্থানে বড় পরিবর্তন আসেনি। কেউ কেউ বিতর্ক কাটিয়ে উচ্চপদেও আসীন হয়েছেন।
কিছু বিশ্লেষকের মতে, ডা. জাহেদের উচিত ছিল বিষয়টি প্রকাশ্যে নিয়ে আসা। এতে হয়তো তিনি দীর্ঘদিনের চাপ থেকে মুক্ত হতে পারতেন, বিশেষ করে তাঁর পরিবার যে প্রকাশ্যে সমর্থন দিচ্ছে, সেটি বিবেচনায় নিলে।
গভীরতর প্রশ্ন
এই বিতর্কে অনেকে আবার “ডিপ স্টেট” বা অদৃশ্য ক্ষমতাকাঠামোর ভূমিকাকে সামনে আনছেন। তাঁদের মতে, রাজনৈতিক সংস্কারের পক্ষে যারা অবস্থান নিচ্ছেন, তারা বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়তে পারেন।
ফলে, ডা. জাহেদ ও রুমিন ফারহানা দুজনই এখন এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির কেন্দ্রে আছেন। এটি শুধু একটি ব্যক্তিগত কেলেঙ্কারির প্রশ্ন নয়, বরং বাংলাদেশের রাজনৈতিক ক্ষমতার লড়াই এবং প্রভাব-প্রতিপত্তির জটিল বাস্তবতাকেও সামনে নিয়ে আসছে।