বাংলাদেশের স্বনামধন্য গাইনী ও ইনফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞ এবং ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল রাজশাহীর সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান (গাইনী বিভাগ) ডা: ফাতেমা সিদ্দিকাকে গায়েবি মামলায় অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজশাহী মহানগরী জামায়াত।
শনিবার ডা. ফাতেমা সিদ্দিকাকে গ্রেফতার ও হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এক যৌথ প্রতিবাদ বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগরীর আমির ড. মাওলানা কেরামত আলী ও সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মণ্ডল।
যৌথ প্রতিবাদ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বনামধন্য ডা. ফাতেমা সিদ্দিকাকে তার নিজ নওদাপাড়ার বাসা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের নাম করে নগরীর শাহমুখদুম থানায় নিয়ে যায় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ। পরে শাহমুখদুম থানার বিগত ২৩/০৫/২০২৩ তারিখের একটি পুরাতন মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। তিনি সেই মামলার এজাহারভূক্ত আসামি নন বা তার ব্যাপারে সে সময় অর্থ যোগানদাতা বা অন্য কোনো কিছুই উল্লেখ করা হয়নি। শুধুমাত্র গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ও সুনাম ক্ষুণ্ন করতে তাকে বিস্ফোরক গায়েবি মামলায় জড়িত করা হয়েছে।
নেতারা বলেন, দেশে আজ চরম বাকশালি রাজত্ব কায়েম রয়েছে। এখন সরকার কোনো বিরোধী রাজনৈতিক দল তো দূরের কথা একজন সাধারণ মানুষকেও সহ্য করতে পারছে না। যারপরনাই দেখে যাচ্ছে ডা: ফাতেমা সিদ্দিকার মতো ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাজশাহী মহানগরীর মেট্রোপলিটন এলাকাসহ কোথাও কোনো মামলা বা গ্রেফতারি পরোয়ানা না থাকলেও শুধুমাত্র ইসলামকে ভালোবাসার জন্য তাকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। আমরা লক্ষ্য করছি, কিছুদিন পূর্বেই রাজশাহীতে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কাজেম আলী আহম্মেদসহ দু’জন ডাক্তার একই দিনে খুন হলো। এত দাবি-দাওয়া আন্দোলনের পরও এখন পর্যন্ত খুনিদের খুঁজে বের করতে পুলিশ প্রশাসনের কোনো তৎপরতা লক্ষ্যণীয় নয়। অপরদিকে কেবলমাত্র বিরোধী দল ও মতকে দমন করার লক্ষ্যে স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের প্রত্যক্ষ মদদপুষ্ট পুলিশ প্রশাসন রাজশাহীসহ সারা দেশকে মগের মুলুকে পরিণত করেছে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, এভাবেই দেশকে চলতে দেয়া যায় না। বাংলাদশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। মানুষ এ সরকারের জুলুম নির্যাতনের দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে। আমরা পুলিশ প্রশাসনসহ সরকারের কাছে আহ্বান জানায় একজন নিরাপরাধ স্বনামধন্য চিকিৎসককে এভাবে হয়রানি না করে এ মূহুর্তে মুক্তির ব্যবস্থা করুন।
তারা আরো বলেন, একের পর এক ইসলামী মত ও পথের ব্যক্তিকে নির্বিচারে আটক করে হেনস্থা করা সীমাহীন জুলুম ও অন্যায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ভাষা আমাদের জানা নেই। ডাক্তার ফাতেমা সিদ্দিকা বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। তাকে নিয়মিত ডাক্তার চেক-আপসহ প্রতিদিন ওষুধ সেবন করতে হয়। নেতৃবৃন্দ আবারো সার্বিক বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে ডা. ফাতেমা সিদ্দিকার নিঃশ্বর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি