ঢাকাশুক্রবার , ২৭ অক্টোবর ২০২৩
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

তিন দলই অনড়, সরকারের ভেতর কি জামাত ভীতি ?

নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ২৭, ২০২৩ ১২:১৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

শনিবার রাজধানীতে বড় তিন রাজনৈতিক দলের সমাবেশ। এ সমাবেশ ঘিরে রাজনীতিতে চলছে উত্তাপ-উত্তেজনা। বিএনপি নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আওয়ামী লীগ সমাবেশ করবে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটক এলাকায়। এ ছাড়া মতিঝিলে সমাবেশ করতে চায় জামায়াত।

যদিও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো দলই সমাবেশের অনুমতি পায়নি ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে। জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হবে না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছে পুলিশ। তবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র কাছে বিকল্প ভেন্যুর প্রস্তাব চাওয়া হয়েছিল। দল দুটি নতুন করে কোনো প্রস্তাব দেয়নি। তারা জানিয়েছে নির্ধারিত ভেন্যুতেই সমাবেশ করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

এ কারণে স্বল্প সময়ে ভেন্যু পরিবর্তন করা যাবে না। এমন অবস্থায় শর্ত সাপেক্ষে দুই দলকেই তাদের পছন্দের ভেন্যুতে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হতে পারে। আজ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে পারে ডিএমপি। আওয়ামী লীগ-বিএনপি’র সমাবেশের বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসার সম্ভাবনা থাকলেও জামায়াত নিয়ে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এ কারণে জামায়াতের কর্মসূচি ঘিরে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

যদিও দলটির নেতারা বলছেন, তারা মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছেন। গতকাল দলের পক্ষ থেকে এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে দলটির ভারপ্রাপ্ত আমীর মতিঝিলেই সমাবেশ করার ঘোষণা দেন। তিনি দলের নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশে যোগ দেয়ার নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন। জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট দিনে শাপলা চত্বরেই মহাসমাবেশ হবে। এজন্য প্রশাসন সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। মহাসামবেশ ঘিরে সরকারের কোনো ধরনের উস্কানি, অসাংবিধানিক ও গণতন্ত্রবিরোধী অপতৎপরতায় বিভ্রান্ত না হতেও নেতাকর্মীদের সতর্কবার্তা দেন ভারপ্রাপ্ত আমীর। ইতিমধ্যে মতিঝিলে মহাসামবেশকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে দলটি। সারা দেশ থেকে ঢাকায় আসছেন নেতাকর্মীরা। কর্মসূচিকে ঘিরে দফায় দফায় বৈঠক করছেন নীতিনির্ধারকরা।

গতকাল সমাবেশের ভেন্যু নির্ধারণ করতে পল্টন থানা থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে চিঠি দেয়া হয়। ওই চিঠিতে দুটি বিকল্প ভেন্যুর প্রস্তাব চাওয়া হয়। কিন্তু দুই দলই ফিরতি চিঠিতে জানিয়ে দেয় নির্ধারিত স্থানেই তারা সমাবেশ করবেন। চিঠিতে সমাবেশে কতো লোক হবে তার সংখ্যাও জানতে চাওয়া হয়। আওয়ামী লীগ জানিয়েছে সমাবেশে দুই লক্ষাধিক নেতাকর্মী আসবেন। আর বিএনপি’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে লক্ষাধিক নেতাকর্মী হতে পারে। ওদিকে জামায়াতের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে তাদের সমাবেশে ব্যাপক লোকসমাগম হবে। তবে আদৌ তারা সমাবেশ করতে পারবে কিনা। প্রশাসন সমাবেশ করতে না দিলে কী পরিস্থিতি হয় তা নিয়ে এখন নানা আলোচনা চলছে। যদিও দলটির নেতারা বলছেন, সমাবেশ ঘিরে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করা হচ্ছে। তারপরও সমাবেশ সফল হবে।

শনিবার বড় তিন দলের সমাবেশ ঘিরে রাজধানীতে কী পরিস্থিতি হয় তা নিয়ে নানা আলোচনা রাজনৈতিক ময়দানে। বিশেষ করে শনিবারের মহাসমাবেশ থেকে বিএনপি কি কর্মসূচি দেয় তা নিয়ে ব্যাপক কৌতূহল সর্বত্র। যদিও দলটির নেতারা জানিয়েছেন, কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ। মহাসমাবেশ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হবে। এইদিন থেকে সরকার পতনের ক্ষণগণনা শুরু হবে। এরপর ধারাবাহিকভাবে চলবে একদফার কর্মসূচি। এ ছাড়া পরিস্থিতির ওপর কর্মসূচির ধরনে পরিবর্তন হতে পারে বলেও নেতারা জানিয়েছেন। অন্যদিকে বিরোধী দলগুলোর কর্মসূচি ঘিরে যাতে ঢাকা অচল না হয়ে পড়ে সেদিকে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগ। দলের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে শনিবারের সমাবেশে ব্যাপক লোকসমাগমের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া পাড়া মহল্লায় আজ থেকেই নিজেদের অবস্থান তৈরি করে মাঠের পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করবে সরকারি দল।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।