রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও আশপাশের এলাকায় ৫০টির বেশি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন সিসিটিভি ক্যামেরা বসাচ্ছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। আজ শুক্রবার বিকেলে বিভিন্ন পয়েন্টে ক্যামেরাগুলো স্থাপন করতে দেখা যায়।
ডিএমপি সূত্র জানায়, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সিসি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডিএমপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার মাধ্যমে ক্যামেরাগুলো থেকে পাওয়া ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাস্তার দুই পাশে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকেই এই ক্যামেরা বসানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে এই কার্যক্রম শুরু করেছে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান। ওই প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মীরা বলেছেন, পুরো সড়কে ৬০টি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে। তবে এ বিষয়ে পুলিশের বক্তব্য মেলেনি।
আশপাশের এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, বিচারপতি ভবন (চার্চ মোড়) থেকে শুরু করে আরামবাগ মোড়। এদিকে বিজয় নগর, পুরান পল্টন, দৈনিক বাংলা মোড় ও রাজারবাগ মোড়সহ সব গলিতে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে, কাকরাইল, নাইটঙ্গেল থেকে ফকিরাপুল রাজারবাগ মোড়ে। প্রতিটি বিদ্যুৎতের খুঁটিতে ১০ থেকে ১২টি করে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে মহাসমাবেশের এখন পর্যন্ত কোনো অনুমতি না পেলেও নয়াপল্টনে জড়ো হতে শুরু করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মীদের হাতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা দেখা গিয়েছে।
এসময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে বিভিন্ন স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি তারা সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানেও নয়াপল্টন মুখরিত করেন তুলেন।
এদিকে মহাসমাবেশকে ঘিরে সকাল থেকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কঠোর নিরাপত্তার বলয় গড়ে তুলেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘সমাবেশের দিন সর্বোচ্চ ফোর্স মাঠে থাকবে। কোনো ধরনের দাঙ্গা, হাঙ্গামা হলে পুলিশ তা দমন করবে। কোনো দল ঝুঁকি নিলে পুলিশও ঝুঁকি নেবে। সমাবেশস্থলে সিসি ক্যামেরা, ড্রোন থাকবে। গোয়েন্দারা সরাসরি ক্যামেরা নিয়ে মাঠে থাকবেন।’