ম্যাচে শুধু ছয় মারার জন্যই দলে রাখা হয়েছে তিনজন ক্রিকেটারকে। যারা ছয়ের ফুলঝুরি ছোটাতে সিদ্ধহস্ত। যারা আদতে কোনও ভালো ব্যাটার, বোলার কিংবা ফিল্ডারও নন। তারা যোগ্যতা তারা ছয় মারতে সিদ্ধহস্ত। পাকিস্তানের এমনই তিনজন ক্রিকেটার হলেন ইফতিখার আহমেদ, খুশদিল শাহ ও আসিফ আলী। ছয় মারতে পারে মোহাম্মদ রিজওয়ান, বাবর আজমের মতো খেলোয়াড়রাও।
কিন্তু তারাকায় ঠাসা এমন দল পাকিস্তান কিনা আজ (মঙ্গলবার) তাদের ইনিংসে একটিও ছয় মারতে পারেনি। আর এতে করে এমন পুরোনো লজ্জার রেকর্ড পেতে হলো ম্যান ইন গ্রিনদের।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০ ওভার ব্যাটিং করলেও কোনো ছয় নেই পাকিস্তানের ইনিংসে। হ্যাগলি ওভালের মাঠ একপাশে বড়, আরেকপাশে ছোট। সামনে পেছনের দূরত্ব প্রায় সমান-সমান। তবে সব মিলিয়ে মাঠের আয়তন খুব বড় নয়। একটু টাইমিং মেলাতে পারলেই পাওয়া যায় কাঙ্ক্ষিত ছক্কা। কিন্তু রিজওয়ান, বাবর, শাদাব, আসিফ আলীরা কেউই সেই কাঙ্ক্ষিত ছয় এনে দিতে পারলেন না।
যার ফলে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে কিউইদের সামনে লক্ষ্যটাও ছিল সাদামাটা। যে টার্গেট নিউজিল্যান্ড মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে তুলে নেয়। তবে পাকিস্তান ছয় মারতে না পারলেও নিউজিল্যান্ডে ফিন অ্যালেন একাই মেরেছেন ৬টি ছয়। শেষ পর্যন্ত অ্যালেন ৪২ বলে ৬২ রান করে কিউইদের জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন।
ছক্কাবিহীন ইনিংস ক্রিকেট ইতিহাসে খুব বিরল। আর এমন বিরল রেকর্ডটি দ্বিতীয়বারের মতো করেছে পাকিস্তান। শেষবার এ রেকর্ডটি করে ২০১৪ সালে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুবাইয়ে পাকিস্তানের ইনিংসে কোনও ছয়ই ছিল না। সেবার মাত্র ৯৬ রান তুলেতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়া একমাত্র টি-টোয়েন্টি জিতেছিল ৬ উইকেটে।
আরেকটি অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড তালিকাতেও যুক্ত হয়েছে পাকিস্তানের নাম। নিউজিল্যান্ডে ৭৭ ম্যাচে প্রথমবার ২০ ওভারের ইনিংস সম্পূর্ণ হলো কোনও ছয় ছাড়া।