ঢাকাশুক্রবার , ১ আগস্ট ২০২৫
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ফেসবুক পোস্টের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে অব্যাহতি, সমালোচনার ঝড় শিক্ষাঙ্গনে

নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ১, ২০২৫ ১১:৪৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নীলিমা আখতারকে ফেসবুক পোস্টের জেরে সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ঘিরে দেশের শিক্ষাঙ্গনে ও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

২২ জুলাই নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দেয়া একটি পোস্টে ড. নীলিমা আখতার সাম্প্রতিক সহিংসতা, বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানি, এবং শিশুদের ওপর হামলার ঘটনায় রাষ্ট্র ও রাজনীতির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি লিখেন:

“গতকাল তারা বিমান ‘দুর্ঘটনায়’ মৃত মানুষের সংখ্যা নিয়ে অসততা করেছে! তার আগেই তারা বঙ্গবন্ধুর জন্মভূমিতে হামলা চালিয়েছে… আজ তারা ছোট ছোট ছেলেদের ওপরও চড়াও হয়েছে!”

পোস্টটির পরপরই বিতর্ক সৃষ্টি হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গত ২৯ জুলাই তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির চিঠি পাঠায়।

“এটি চিন্তার স্বাধীনতার ওপর আঘাত” — ড. নীলিমা আখতার

বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে ড. নীলিমা বলেন:

“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী শিক্ষকদের মতপ্রকাশের অধিকার রয়েছে। অথচ একটি ফেসবুক পোস্টের জন্য আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে! এটি শুধু আমার নয়, মুক্তচিন্তার ওপর সরাসরি আঘাত।”

তিনি জানান, প্রায় ২০ বছর ধরে তিনি শিক্ষা ও গবেষণার সঙ্গে যুক্ত। কোনোদিন তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছিল না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি অস্ট্রেলিয়ার উচ্চ বেতনের চাকরি ছেড়ে ২০২৪ সালে দেশে ফিরে আসেন।

উচ্চশিক্ষা ও কৃতিত্বপূর্ণ অতীত

ড. নীলিমা আখতার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। এরপর তিনি ইউনিভার্সিটি অব ওয়ারউইক থেকে কমনওয়েলথ স্কলারশিপে এমএ এবং পরবর্তীতে মোনাশ ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়া থেকে পিএইচডি করেন।

তিনি অস্ট্রেলিয়ায় কিছুদিন শিক্ষকতা শেষে দেশে ফেরেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন।

শিক্ষকমহলে ক্ষোভ ও নিন্দা

ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং সাধারণ নাগরিকরা এ সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন। অনেকেই মনে করছেন, এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী এবং গণতান্ত্রিক চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

একজন সিনিয়র শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,

“শিক্ষকের কণ্ঠরোধ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এটি দেশের একাডেমিক পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বার্তা দিচ্ছে।”

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।