ঢাকাশুক্রবার , ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ফ্লেক্সিলোড দোকানদার থেকে গুলশান ছাত্রলীগ সভাপতির ২৫টি ভিআইপি পতিতালয়।

অনলাইন ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৪ ১:২৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বেশ কয়েকবছর আগেও মোস্তফা হোসেন হেলাল রাজধানীর মধ্য বাড্ডা এলাকায় চালাতেন একটি ছোট মোবাইল রিচার্জের দোকান। তবে ২০১৯ সালে গুলশান থানা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ার পর রাতারাতি বদলে যায় হেলালের জীবনধারা। থাকেন নিজস্ব অভিজাত ফ্ল্যাটে, চড়েন বিলাসবহুল গাড়িতে। ঘুরতে যান উন্নত দেশে। তবে জানাজানি হলে গত ঈদে ফ্ল্যাটটি বিক্রি করে দেন তিনি। এছাড়া স্ত্রী ও দুই সন্তান থাকার পরও দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন এই ছাত্রনেতা।

হেলালের এই উত্থানে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরাও বিস্মিত। চার বছর ধরে রাজধানীর গুলশান থানা ছাত্রলীগের সভাপতি পদ ধরে রেখেছেন তিনি। তার নামে চাঁদাবাজি ছাড়াও রয়েছে নানা অভিযোগ। তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে হতাশ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও।

স্পা সেন্টারের নামে গুলশানে ভিআইপি পতিতাবৃত্তির নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন গুলশান ছাত্রলীগ সভাপতি মোস্তফা হোসেন হেলাল। তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ২৫টি স্পা সেন্টার। যেখানে প্রতিনিয়ত চলে অসামাজিক কার্যকলাপ।

গঠনতন্ত্র ভঙ্গ করে বিয়ে করেছেন স্পা সেন্টারের এক মালিককে। তাছাড়াও তার রয়েছে একাধিক স্ত্রী। চড়েন বিলাসবহুল গাড়িতে, থাকেন নিজের কেনা অভিজাত ফ্ল্যাটে। তার সন্তান পড়েন রাজধানীর মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে। প্রায়ই ঘুরতে যান বিদেশে। এই নেতার বিরুদ্ধে ৪২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগও রয়েছে দুদকে। অথচ দৃশ্যমান কোনো আয় নেই তার। ছাত্রলীগের পদটিই যেন তার কাছে আলাদিনের চেরাগ।

গুলশানের কয়েকটি স্পা সেন্টারের মালিক জানান, স্পা সেন্টার চালাতে হলে হেলালকে প্রতি মাসে চাঁদা দিতেই হবে। অন্যথায় সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়। সবাই ভয়ে চাঁদা দেন। এ ছাড়া হেলাল ব্যবসায়ীদের টাকা তুলে দেওয়া থেকে শুরু করে তদবির বাণিজ্য ও চাঁদাবাজি করেন।

জানা গেছে, সরকারি তিতুমীর কলেজে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২০১০-১১ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন হেলাল। তিনি কীভাবে এখনো ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন, তা রহস্যে ঘেরা। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, বয়স ২৯ পেরোলে সংগঠনের পদে থাকা যায় না। হেলালের জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার জন্মতারিখ ১৯৮৯ সালের ২ মার্চ। ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই দায়িত্ব পাওয়ার সময়ই তার বয়স ছিল ৩০ বছর। বর্তমানে বয়স ৩৪ বছর সাত মাস।

গুলশান থানা ছাত্রলীগের রাজনীতিতে হেলালের একক আধিপত্য। চার বছর ধরে গুলশান থানা ছাত্রলীগের সভাপতি পদ ধরে রেখেছেন তিনি। তার নামে চাঁদাবাজি ছাড়াও রয়েছে নানা অভিযোগ। তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে হতাশ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

হেলালের বিরুদ্ধে নিজের মনমতো সংগঠন পরিচালনার অভিযোগও রয়েছে। সম্প্রতি দলীয় অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়া এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ এনে কয়েকজন নেতাকে অব্যাহতি দেন তিনি। অথচ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রে বলা আছে, কোনো নেতাকে অব্যাহতি দেওয়ার এখতিয়ার থানা কমিটির নেই।

গুলশান থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন জানান, দলীয় পদ পেয়েই বেপরোয়া হেলাল। গড়ে তুলেছেন পতিতাবৃত্তির সাম্রাজ্য। দলের নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও হেলালের চাঁদাবাজি, অন্যদের মারধর করাসহ বিভিন্ন অন্যায় কাজে সহযোগিতা না করলে তাদের দেওয়া হয় অব্যাহতি।

হেলালের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সব অভিযোগ অস্বীকার করে উলটো হুমকি দেন উক্ত সংবাদ প্রতিবেদককে। হেলাল বলেন, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমার বিরুদ্ধে নিউজ করায় অনেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছি। আপনি সামনে এসে কথা বলুন। এসব কথোপকথনের রেকর্ড প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।

হেলালের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের পদে থেকে কেউ অনৈতিক কাজে জড়ানোর সুযোগ নেই। সব অভিযোগের বিষয়ে আমরা তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।