ঢাকাবুধবার , ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভারত সফরের অনেক প্রাপ্তি রয়েছে,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২ ৬:০৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ভারত সফরের অনেক প্রাপ্তি রয়েছে, পরিবর্তিত বিশ্বে দুই দেশের একসাথে পথচলা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার বিকাল ৪টায় ভারত সফর পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

ভারত সফর থেকে আমরা কী পেয়েছি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কী পায়নি? ভারত সফরের অনেক প্রাপ্তি রয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে দিনাজপুরে তেল আমদানি শুরু হলে উত্তরবঙ্গে অর্থনৈতিক প্রসার ঘটবে জানান প্রধানমন্ত্রী।

কী পেলাম আর কী পেলাম না তা আপেক্ষিক, এটা সম্পূর্ণ মনের ব্যাপার। তিনি বলেন, আমরা যেমন দেশে এতো কিছু করার পরও বিএনপি বলে আমরা নাকি কিছুই করিনি। সেরকম যে যেভাবে দেখতে পায়, সে সেভাবেই মনে করবে।

সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করেন, আপনি সফরে যাওয়ার আগে একটি কথা বলেছিলেন যে, আপনি প্রত্যাশা করেন ভারত আরো নানা বিষয়ে উদার হবে। তাদের আচরণ বা কথায় সেই উদারতা পেয়েছেন কিনা?

এ প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তরিকতার কোনো অভাব দেখিনি। আমি যদি নিজে ভালো বন্ধু হন তবে সবাই ভালো থাকবে। আর যদি নিজে এদিক-ওদিক করেন তবে সম্পর্ক ভালো থাকে না। আমাদের পররাষ্ট্র নীতি অত্যন্ত স্পষ্ট। সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়।

যথেষ্ট আন্তরিকতা আমি পেয়েছি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট বা অন্যান্য যার যার সঙ্গে কথা হয়েছে, তাদের আন্তরিকতা সবসময় ছিল, আছে। আপনারা জানেন, একটা বিষয়, বাংলাদেশের বিষয়ে ভারতের সব দল-মত এক থাকে। এটা হল বড় কথা।

বাংলাদেশের যেকোনো বিষয়ে ভারতের দল মত নির্বিশেষে সবসময় আন্তরিকতা দেখিয়েছে। ১৯৭১ সালে ভারতের সব দল-মত, জনগণ এক হয়ে আমাদের সমর্থন দিয়েছিল। আবার আমরা যখন স্থল সীমানা চুক্তি বাস্তবায়ন করি, যখন ছিটমহল বিনিময় করি, তখন দেখেছেন, ভারতের পার্লামেন্টে যখন আইনটা পাস হয়, তখন কিন্তু সব দল এক হয়ে স্থল সীমান চুক্তি আইন তারা পাস করেছিল। বন্ধুপ্রতীম দেশ তাদের সাথে অবশ্যই সুসম্পর্ক থাকবে।

সবার সাথে বন্ধুত্ব কারও সাথে বৈরিতা নয়, এই মন্ত্রে ভারতের সাথে সমুদ্রসীমা, সীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেকোন পন্য রপ্তানি বন্ধের আগে বাংলাদেশকে ভারত আগাম জানিয়ে রাখবে।

আগামী বছর ডলারের সংকট আরও তীব্র হবে, করোনার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্ব দুর্ভিক্ষের মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এজন্য নিজেদের মাটিতে খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারতের মনোভাবের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সবসময়ই ইতিবাচক। সমস্যা হলো মিয়ানমার সরকারকে নিয়ে, তারা নিজেরাই এখনো সংঘাতে লিপ্ত রয়েছে। রোহিঙ্গাদের আমরা মানবতার জন্য জায়গা দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন তা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গত ৫ সেপ্টেম্বর চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় দেশে ফেরেন তিনি। সফরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি ব্যবস্থাপনা, রেলপথ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ে সাতটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এ ছাড়া তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানির জন্য বিনা মাশুলে বাংলাদেশকে ট্রানজিট সুবিধা দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ভারত।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও জ্বালানি সরবরাহের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে দেশটি। প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয়ে আরো বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।

করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর অনেক কর্মসূচিতেই ভার্চুয়ালি উপস্থিত হলেও এই সংবাদ সম্মেলনে সরাসরি উপস্থিত হলেন সরকার প্রধান।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।