ভোট গণনায় জালিয়াতির অভিযোগ তুললেও এর স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি ট্রাম্প। বন্ধের দাবিতে এরই মধ্যে তিনি মামলা করেছেন।
মার্কিন মুল্লুকের যে কোন নির্বাচনের ইতিহাস তৈরী করলো এবারের ২০২০ সালের নির্বাচন।
জটিল সমীকরনের ভোট গননার প্রক্রিয়ায় এখন পর্যন্ত জো বাইডেন বেশ ভালো অবস্থানে থাকলেও ট্রাম্পের সমর্থকরা এখনো আশা ছাড়ছেন না। এ অবস্থায় বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবস্থা যখন বেকফুটে তখন ভোট গননা বন্ধ করতে বল্লেন ট্রাম্প।
সাধারণ সময়ে প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি কিংবা তারও বেশি স্ট্যাটাস দেওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনের সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ ‘স্থির’ আছেন। প্রায় ১১ ঘণ্টা পর তিন শব্দের স্ট্যাটাসে ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘ভোট গণনা থামাও।’
ফেইসবুকে ট্রাম্প এর আগে কনটেন্ট শেয়ার করেন বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ১৯ মিনিটে। সর্বশেষ কিছু লিখলেন, এদিন রাত ৮টা ১৫ মিনিটে।
নির্বাচনে উত্তরাঞ্চলের ব্যাটলগ্রাউন্ড হিসেবে পরিচিত মিশিগান ও উইসকনসিনে জেতার পর বাইডেনের ইলেকটোরাল কলেজ ভোট ২৬৪-তে পৌঁছেছে। ট্রাম্পের ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ২১৪। মোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে প্রয়োজন ২৭০টি।
যুক্তরাষ্ট্রের সময় অনুযায়ী মঙ্গলবার গভীর রাতে হোয়াইট হাউজের ইস্ট রুম থেকে ট্রাম্প নিজের ভাষণে বলেন, ‘যারা আমাকে ভোট দিয়েছে তাদের বঞ্চিত করার চেষ্টায় আছে একদল বাজে লোক।’
‘আমরা বড় ধরনের উদ্যাপনের জন্য প্রস্তুত ছিলাম। সব কিছুই জিতছিলাম। হঠাৎ থামিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে যাব, সব ভোট বন্ধ রাখতে চাই।’
