নতুন ভিসানীতি ঘোষণার মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে অপমান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। সোমবার দুপুরে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘যেকোন সরকার তার ইচ্ছেমত ভিসা দেয়। আমাদের প্রতিবেশি ভারত, দুইজনে দরখাস্ত করলে রোগীকে ভিসা দেয় আর তার সঙ্গে যে থাকেন তাকে দেয় না। এটা তাদের ইচ্ছেমত এবং পৃথিবীর সবার ইচ্ছেমতই ভিসা দেয়। বাইরের লোকেরা যে আমাদের দেশে আসে আমাদের এম্বাসিগুলো ওই একই কাজই করে।
‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে এই ভিসানীতি নিয়ে কোন কথা থাকতো না। ভিসা নিয়ে কথা আসছে রাজনীতির কারনে। আমি মনে করি এই ভিসার যে কড়াকড়ি বা ভিসা যে অস্ত্র জাতীয় নির্বাচনে যেন কেউ বাধা না দেয়। আর বাঁধা দিলে তার উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি হবে। এটা আমাদের অপমান করা ছাড়া আর কিছু না।’
গত ২৫ মে এক টুইট বার্তায় বাংলাদেশিদের জন্য নতুন ভিসানীতির কথা জানান যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যান্টনি ব্লিংকেন। এই নীতির আওতায় কোন বাংলাদেশি ব্যক্তি যদি সেদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া ব্যাহত করার জন্য দায়ী হন বা এরকম চেষ্টা করেছেন বলে প্রতীয়মান হয় – তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাকে ভিসা দেয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে।
সংবিধানে না থাকায় নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনো সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য করেন কাদের সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব মন্ত্রী বাদ দিয়ে আরা ১০০ জনকে মন্ত্রী বানাতে পারেন। একজন পাগলকেও মন্ত্রী বানাতে পারেন। কিন্তু তার পদত্যাগ করার কোন সুযোগ নেই এই সংবিধান অনুযায়ী।
‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলে কোন সরকার নেই। কিন্তু বাংলাদেশে হয়েছিল। এখন সংবিধানে নাই। এরশাদকে বাধ্য করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার করা হয়েছিল। রাজনীতিতে আন্দোলনের মাধ্যমে বাধ্য করতে পারলে সেখানে সবই আইনে আর না পারলে সবটাই বেআইনি। এখন দেখতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার যদি অর্জন করতে পারে, দেশে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করে তাহলে তত্ত্বাবধায়ক হবে। আর না হলে আমার বোনের (প্রধানমন্ত্রী) কোন উপায় নাই তিনি তার প্রধানমন্ত্রীত্ব ছাড়েন।’