ঢাকাশনিবার , ২ ডিসেম্বর ২০২৩
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রিজভী এখন বিএনপি আন্দোলনের কান্ডারী।

অনলাইন ডেস্ক
ডিসেম্বর ২, ২০২৩ ৯:৩৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিএনপির ডাকা নবম দফা অবরোধ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে রোববার। সেই অবরোধ সফল করতে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে মশাল মিছিল করেছেন নেতাকর্মীরা।

শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁও থেকে শেওড়াপাড়া সড়কে রিজভীর নেতৃত্বে ওই মশাল মিছিল হয়।

২৮ অক্টোবর বিএনপির পণ্ড হয়ে যাওয়া সমাবেশের পর থেকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি রিজভীকে। অজ্ঞাত স্থান থেকে অনলাইন সংবাদ সম্মেলন করে হরতাল-অবরোধ ঘোষণা করে আসছিলেন তিনি। বিএনপির অন্য নেতাদেরও খুব একটা দেখা যায় না।

গত মঙ্গলবার চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলনের এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান যোগ দিয়েছিলেন।

শনিবার মশাল মিছিলে রিজভী বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন চলবে। দেশের বেশিরভাগ জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল সরকারের বিরুদ্ধে। তারা নির্বাচন বর্জন করেছে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করেই তারা নির্বাচনে যাবে।

তিনি আরও বলেন, চারদিক থেকে সরকারের বিরুদ্ধে যেভাবে লাল নোটিশ আসছে, জনগণ যেভাবে জেগে উঠেছে তাতে বিজয়ের মাসেই সরকারের পতন ঘটবে। দেশ বাঁচাতে হলে সরকারের পতন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

গত আট দফায় বিএনপির অবরোধ-হরতাল কর্মসূচিতে মঙ্গলবার বিরতি রাখা হচ্ছে। এর বাইরে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও কর্মসূচি থাকে না।

বিএনপি-জামায়াত ও সমমনাদলগুলোর অষ্টম দফার অবরোধ শেষ হয় বুধবার ভোর ছয়টায়। বৃহস্পতিবার ছিলো হরতাল। ওইদিনই রোববার থেকে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী।

সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবিতে হরতাল-অবরোধ অব্যঅহত রেখেছে বিএনপি-জামায়াত এবং তাদের সমমনা দলগুলো। তাদের দাবি, ‘একতরফা’ নির্বাচন বন্ধ করতে হবে। নির্বাচনী তৎপরতায় যুক্ত হওয়ায় কয়েকজন নেতাকে বহিষ্কারও করেছে দলটি।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হবার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।

একই দাবিতে ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিলো বিএনপি। ব্যাপক সহিংসতার মধ্যে সেই নির্বাচনে জিতে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ।

বিএনপির সকাল-সন্ধ্যা হরতাল বৃহস্পতিবারবিএনপির সকাল-সন্ধ্যা হরতাল বৃহস্পতিবার

২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি গণফোরামের ড. কামাল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে ভোটে অংশ নেয়। ভোটে ভরাডুবি ঘটে বিএনপির। এরপর কারচুপির অভিযোগ তোলে তারা। সংসদের মেয়াদের শেষ দিকে এসে বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করেন।

এবার ২০১৪ সালের মত একই দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। ফিরে এসেছে সংঘাতের পরিবেশ। যানবাহনে অগ্নিংযোগ আর নাশকতার ঘটনায় জনমনে উদ্বেগ বাড়ছে। ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে রোজই অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।